
মোঃ এরশাদুল হক খন্দকার, উপজেলা প্রতিনিধি, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম
নাগেশ্বরীতে অনুষ্ঠিত নারী কর্মী সমাবেশে বক্তারা ইসলামী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় নারীদের ঐক্য, ভূমিকা ও দায়িত্ব নিয়ে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা করেন। সমাবেশে এলাকার বিভিন্ন স্থানের শতাধিক নারী কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি, রংপুর মহানগর মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারী মোছাঃ মনিরা বেগম বলেন, “ইসলামী সমাজ গঠনের মূল ভিত্তি হলো পরিবার, আর পরিবারের প্রকৃত রূপকার নারীরা। মায়ের সুশিক্ষা ও চরিত্রই সমাজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে। নারীরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামী আদর্শ অনুসরণ করে, তাহলে ন্যায়, শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা সহজ হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, নৈতিক অবক্ষয়, পরিবারে বিচ্ছিন্নতা ও নারী নির্যাতন মোকাবিলায় নারীদের নেতৃত্ব প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথি, কুড়িগ্রাম জেলা মহিলা সহকারী সেক্রেটারী সায়মা ফাতেমা বলেন, “ইসলাম নারীর সম্মান, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য সর্বোত্তম জীবনব্যবস্থা দিয়েছে। নারীদের সংগঠিত করা, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সমাজসেবায় যুক্ত করা আমাদের মূল লক্ষ্য। সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচনে নারী ভোটারদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
সভাপতিত্ব করেন নাগেশ্বরী উপজেলা মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারী মোছাঃ মমতা বেগম। তিনি বলেন, “নারীরাই সমাজের প্রকৃত চালিকাশক্তি। একজন নারী যদি নিজেকে বদলাতে চায়, তবে তিনি পুরো পরিবার ও প্রজন্মকে বদলে দিতে পারেন।” তিনি নারীদের শিক্ষা, নৈতিকতা, দাওয়াতি কাজ ও সমাজসেবায় সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
বক্তারা আরও বলেন—
ইসলামভিত্তিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা সময়ের দাবি।
পরিবারে নৈতিক পরিবেশ তৈরি করা নারীর মূল দায়িত্ব।
সন্তানদের চরিত্র গঠনে মায়ের ভূমিকা অপরিবর্তনীয়।
নারীরা ঐক্যবদ্ধ হলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন দ্রুত সম্ভব।
নির্বাচনী প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, দাঁড়িপাল্লা মার্কার বিজয় ন্যায়, সুশাসন ও নীতিবান নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করবে। নারীরা চাইলে এই বিজয়ে নির্ণায়ক ভূমিকা রাখতে পারেন।
সমাবেশে উপস্থিত নারীরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেন যে তারা পরিবার, সমাজ ও নির্বাচনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবেন। অনুষ্ঠানের শেষে দোয়া ও উদ্বুদ্ধমূলক আহ্বানের মাধ্যমে সমাবেশ শেষ হয়।
ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারীর ঐক্যই হবে পরিবর্তনের শক্তি।