
শেখ তাইজুল ইসলাম, মোংলা প্রতিনিধি
এইচএসসি পাস করেও অর্থবাবে থেমে যাচ্ছে অনার্সে ভর্তি প্রতিবন্ধী মায়ের একমাত্র ভরসা এই মেধাবী সন্তান।
শেখ তাইজুল. ইসলাম মোংলা (প্রতিনিধি)
অপু রায় তার স্বপ্ন ছিল উচ্চশিক্ষা অর্জন করে পরিবার ও সমাজের মুখে হাসি ফোটাবেন। কিন্তু উচ্চশিক্ষার সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই দারিদ্র্যের নির্মম বাস্তবতার সামনে এসে থমকে দাঁড়িয়েছেন বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের পুর্ব চিলা গ্ৰামের মেধাবী শিক্ষার্থী অপু রায় সদ্য এসএসসি পাশ করা এই তরুণ অর্থের অভাবে এখন অনার্সে ভর্তি হতে পারছেন না। পিতা গৌতম রায় এর দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া অপু ছোটবেলা থেকেই চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে এসেছেন। তার পরিবারে রয়েছে আরও এক কঠিন চ্যালেঞ্জ তঁর মা একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি না থাকায় এই মুহূর্তে পরিবারটি চলছে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে।
অপু রায় এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করলেও, এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বা কলেজে ভর্তির ন্যূনতম খরচ বহন করাও তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ভর্তির ফি, বইপত্র কেনা এবং আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে যে সামান্য অর্থের প্রয়োজন, তাও সংগ্রহ করতে পারছে না দরিদ্র এই পরিবারটি। অপুর বাবা গৌতম রায় জানান, “আমরা দিন আনি দিন খাই। এর মধ্যে সন্তানের পড়াশোনা চালানো আমাদের সাধ্যের বাইরে। বিশেষ করে আমার স্ত্রীর এই অবস্থায় অপুই আমাদের একমাত্র ভরসা। সকলের সাহায্য ছাড়া ওর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে।
এই মেধাবী শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ করে দিতে সমাজের সহৃদয়বান ও বৃত্তশালীদের কাছে মানবিক আবেদন জানানো হয়েছে। সামান্য সহযোগিতা পেলেই হয়তো অপু রায় তার স্বপ্নের পথে এগিয়ে যেতে পারবে এবং সমাজের বোঝা না হয়ে দেশের সম্পদে পরিণত হবে। বর্তমানে, সমাজের একটুখানি সহায়তাই পারে তার জীবনকে নতুন পথে চালিত করতে এবং তার মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে