
বান্দরবান প্রতিনিধি: সুকেল তঞ্চঙ্গ্যা।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা সদর উপজেলার ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় দিনদুপুরে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেছে। সুযোগ বুঝে চোরচক্র বাসাবাড়িতে ঢুকে নিয়ে যাচ্ছে টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন ও দামী জিনিসপত্র। এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা। চুরির ঘটনা ঠেকাতে মাঝেরপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় এখন রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শতাধিক রোহিঙ্গা সুয়ালক ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে বসবাস করছে। টাকার বিনিময়ে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধি তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন এবং ভোটার বানাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব রোহিঙ্গা বিভিন্ন অপরাধ করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প বা অন্য জেলায়।
সুয়ালক ইউনিয়নটি বান্দরবানের প্রবেশমুখে রেইসা আর্মি ক্যাম্পের আগেই হওয়ায় এলাকাটি চেকপোস্টের আওতার বাইরে। ফলে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ও অবস্থানে কোনো বাধা নেই। বর্তমানে এলাকায় কয়েকশ রোহিঙ্গা পরিবার বসবাস করছে বলে জানা গেছে।
গত ২২ অক্টোবর সাংবাদিক বাবুল খাঁনের দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল চুরি যায়। তিনি জানান, “চুরির পর থানায় সাধারণ ডায়েরি করলেও এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”
সুয়ালক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উক্যনু মার্মা বলেন, “একটি চক্র রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। রকি বড়ুয়া নামের এক জেল ফেরত সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, তদন্ত চলছে।”
বান্দরবান সদর থানার ওসি মাসুদ পারভেজ বলেন, “চুরি-ছিনতাই ঠেকাতে নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে। এ মাসে সাতটি চুরির মামলা হয়েছে এবং ১৪ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”
স্থানীয়দের দাবি, অবৈধভাবে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের দ্রুত ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো ও এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল বৃদ্ধি করতে হবে। অন্যথায় শান্তিপ্রিয় এই এলাকার পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।