বরগুনার আমতলী উপজেলার চন্দ্রা গ্রামের হাসিনা বেগমের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে-নামে প্রতারণা করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছেন তৃতীয় স্বামী অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আবু হানিফ হাওলাদার ও প্রথম স্বামী সোলায়মান সরকার। তারা জানান, হাসিনা তালাক না দিয়ে বারবার ভিন্ন পুরুষকে বিয়ে করেছেন এবং বিভিন্ন সময়ে অর্থ ও সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সালে সোলায়মান সরকারের সঙ্গে প্রথম বিয়ে থেকে শুরু করে ২০১৮ সালে তালাক পর্যন্ত ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়। সোলায়মান দাবি করেছেন, তিনি চন্দ্রা কারিগরি কলেজ সংলগ্ন ৫৫ শতাংশ জমি ও বাড়ির দলিল জোরপূর্বক হারিয়েছেন। এরপর ২০২২ সালে দ্বিতীয় স্বামী আবুল হোসেনকে বিয়ে করে ওই সময় চিকিৎসার নামে প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ২০২৩ সালে তৃতীয় স্বামী হিসেবে আবু হানিফকে বিয়ে করেন—তার কাছ থেকেও প্রায় ১৫ লাখ টাকা নেওয়ার দাবি আছে। অভিযোগ অনুযায়ী, গত রবিবার তালাক না দিয়ে হাসিনা চতুর্থ বিয়ে করেন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, হাসিনার ওইসব কাজ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান। অপরদিকে হাসিনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন যে তিনি আবু হানিফকে তালাক দিয়েই নতুন বিয়ে করেছেন। আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।