কামরুল ইসলাম, ক্রাইম রিপোর্টার
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নূরের বিরুদ্ধে আলোচিত এক ইয়াবা কারবারির স্ত্রীকে ঘুষের বিনিময়ে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, তিন লাখ টাকার বিনিময়ে ওই নারীকে থানার নিজস্ব এসি নোহা গাড়িতে করে আদালতে হাজির করার ব্যবস্থা করা হয়।
শনিবার দুপুরে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার আদালতে নেওয়ার সময় গ্রেপ্তার হওয়া ফাইজা নামের ওই নারীকে একটি এসি গাড়িতে দেখা যায়। এ সময় এএসআই দিলদারসহ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তা দায়িত্বে ছিলেন।
তবে ওসি আবু জায়েদ মো. নূর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, কোনো টাকা লেনদেন হয়নি।” তবে কেন এসি গাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে—সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) টেকনাফের জুবায়েরের বাড়িতে আট ঘণ্টার অভিযান চালিয়ে ফাইজা ও তার সহযোগী আয়ুব আলিকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় উদ্ধার করা হয় ১৯ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা, ১৩০ গ্রাম ইয়াবা পাউডার ও ১০ লাখ টাকা। পরে তাদের টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
ফাইজাকে আদালতে নেওয়ার সময় এসি গাড়ি ব্যবহারের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, থানার ওসি ঘুষ নিয়ে নিয়মিতভাবে মাদক কারবারিদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে আসছেন। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের যোগসাজশ থাকায় টেকনাফে ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে না।