বান্দরবান প্রতিনিধি: সুকেল তঞ্চঙ্গ্যা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে ৮ টি দাবিতে সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মজিবুর রহমান।
আজ: ০৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বান্দরবান জেলা সদরের গ্র্যান্ডভ্যালির সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মজিবুর রহমান ৮ টি দাবিতে আগামী ১৩ অক্টোবর (সোমবার) সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডাক দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আমরা তিন পার্বত্য জেলার বাঙালি রা যুগের পর যুগ বিভিন্ন ভাবে বৈষম্যের শিকার ও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত তাই আমাদের সাংবিধানিক ও ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমাদের এই কর্মসূচি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও সর্বস্তরের জনগণের দাবিকৃত ৮ টি দাবি নিম্নে পয়েন্ট আকারে উল্লেখ করা হলো:
১. ব্রিটিশ রচিত প্রহসনের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ বাতিল করে সংবিধানের আলোকে তিন পার্বত্য জেলায় শাসন ব্যাবস্থা চালু করা।
2. জমি ক্রয়-বিক্রয়, চাকুরী, শিক্ষাসহ সর্বক্ষেত্রে রাজার সনদ বাতিল করা।
৩. ৬১ জেলায় ন্যায় রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানেও জমি ক্রয়-বিক্রয় এবং ভূমি ব্যাবস্থাপনা চালু করা।
৪. বাজার ফান্ড প্লটের লীজের মেয়াদ ১৯-বছরে উত্তীর্ণ করা ও বন্ধ রাখা ব্যাংক ঝণ পুনরায় চালু করা।
৫. উন্নয়নের স্বার্থে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলায় পরিবেশ বান্ধব ইটের ভাটাসহ , কলকারখানা ও ইন্ডাস্ট্রি চালু করা।
৬. আইনশৃঙ্খলা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে তিন পার্বত্য জেলায় প্রত্যাহারকৃত ২৪৬ টি সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপন করা।
৭. অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে চাঁদাবাজি, গুম, খুন, ধর্ষণ বন্ধ করে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে তিন পার্বত্য জেলায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
৮. আগামী ১৩ তারিখ সকাল সন্ধ্যা হরতাল চলমান থাকবে। তবে সরকারি অফিস, আদালত কর্মকর্তাদের গাড়ি, স্কুল কলেজ এর গাড়ি, পরিক্ষার্থীদের গাড়ি, এম্বুলেন্স, খাবারের দোকান, ওষুধের দোকান এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ দের সংবাদ সংগ্রহের গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত থাকবে।