১৭ বছর পর মোংলায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ সম্মেলন, নির্বাচিত হলো নতুন নেতৃত্ব
আরিফ হাসান গজনবী
রামপাল উপজেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট
১৭ বছর পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো মোংলা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন। টাটিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বুধবার (৮ মে) বেলা ১১:৩০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন হয়। শুরুতে ছিল আলোচনা সভা, পরে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে সম্পন্ন হয় নেতা নির্বাচনের পর্ব।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, কৃষিবিদ শামিমুর রহমান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, এম এ সালাম, মোজাফফর রহমান আলম, কামরুল ইসলাম গোরা, খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ, লায়ন ডা. শেখ ফরিদুল ইসলাম, সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক, শাহেদ আলী রবি, মনিরুল ইসলাম খান, কাজী খায়রুজ্জামান শিপনসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সভায় সভাপতিত্ব করেন মোংলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক স.ম. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
দ্বিতীয় পর্বে, দুপুর ১টায় মোংলার ছয়টি ইউনিয়নের ৪২৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৪২৩ জন সরাসরি ভোট দেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল সাড়ে ৫টায় ফলাফল ঘোষণা করেন বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনের বিএনপির নির্বাচন মনিটরিং টিম প্রধান কামরুল ইসলাম গোরা।
ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে আব্দুল মান্নান হাওলাদার ২৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স.ম. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ১৯০ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে আবু হোসেন হাওলাদার (পনি) ১৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ রুস্তুম আলী পেয়েছেন ১৮৭ ভোট। অপর দুই প্রার্থী ঝংকার ফকির ২৮ ও মৃধা ফখরুল ইসলাম পেয়েছেন ১৮ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শেখ সাকির হোসেন ১৯৫ ভোট পেয়ে প্রথম এবং মৃধা ফারুকুল ইসলাম ১৯১ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর তৃণমূলের প্রত্যাশা পূরণ করে শান্তিপূর্ণ এ সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচিত হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। বিজয়ীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—সব ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ করবেন।