মানুষের শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সূচক। হিমোগ্লোবিন রক্তের লোহিত কণিকাগুলির মধ্যে একটি প্রোটিন যা অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে। বিভিন্ন কারণে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতে পারে, যেমন রক্তাল্পতা, পুষ্টির অভাব, রোগবালাই ইত্যাদি। যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নির্দিষ্ট সীমার নিচে নেমে যায়, তবে রোগীর রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হতে পারে।
নারী ও পুরুষের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা ভিন্ন। সাধারণত, পুরুষের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১৩.৮-১৭.২ গ্রাম/ডেসিলিটার এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১২.১-১৫.১ গ্রাম/ডেসিলিটার হয়।
হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়
বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ৭ গ্রাম/ডেসিলিটার বা তার কম হয়, তখন রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে, কোন কোন ক্ষেত্রে, উদাহরণস্বরূপ যদি রোগী হৃদরোগ, কিডনি রোগ বা অন্যান্য গুরুতর রোগে আক্রান্ত হন, তবে এই মাত্রা একটু বেশি থাকলেও রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হতে পারে।
গর্ভাবস্থায় হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়
সাধারণত, গর্ভবতী মহিলাদের রক্তদানের পরামর্শ দেওয়া হয় না, বিশেষ করে যদি তাদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা 10 গ্রাম/ডেসিলিটারের নিচে থাকে।
হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে রোগীর শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, যা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সঠিক সময়ে রক্ত সঞ্চালন করে রোগীকে সুস্থ রাখা সম্ভব। তবে, এটি কখন করা উচিত তা ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী হওয়া উচিত। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব।