
বরিশাল প্রতিনিধি | দৈনিক আমার সকাল ২৪
বরিশালে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতা পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের চার সদস্যকে ক্লোজড (বদলি) করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতা রবিন। তিনি সদর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত।
ঘটনার পর ক্লোজড হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন—বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার স্টিমারঘাট (নানিবুড়ি) ফাঁড়ির টিএসআই রেজাউল করিম রেজা, এএসআই মাহবুব আলম এবং কনস্টেবল জাহাঙ্গীর ও হাবিবুর রহমান।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “মূলত নিজেদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। পালিয়ে যাওয়া ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাৎ জানান, দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা রবিনকে স্থানীয়রা আটক করে। পরে পুলিশকে খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তখন স্টিমারঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা, এএসআই মাহবুব ও দুই কনস্টেবল রবিনকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকেই রবিন পালিয়ে যায়।
কমিশনার আরও বলেন, “পাবলিক মারধর করায় আহত রবিনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যেহেতু তার নামে কোনো মামলা ছিল না, তাই হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মেডিকেল ওয়ানকে দায়িত্ব দিয়ে চার পুলিশ সদস্য খাবার খেতে গিয়েছিলেন। এই সুযোগেই রবিন পালিয়ে যায়।”
তিনি জানান, পালিয়ে যাওয়া ছাত্রলীগ নেতা যে মামলার আসামি ছিলেন, সে বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য ছিল না। এমনকি স্থানীয়রাও পুলিশকে জানাননি রবিনের পরিচয় বা মামলার বিষয়টি।
ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।