“খেজুর: আল্লাহর মহান নেয়ামত। এটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিগ্রহণশীল ফল। কোরআন এবং হাদিসে খেজুরের গুণাবলী সম্পর্কে অনেক উল্লেখ রয়েছে। মহানবী (সা.) এর সময়ে খেজুর আরববাসীদের প্রধান কৃষিপণ্য এবং প্রধান খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হত। মাওয়ারদি (রহ.) বলেন, ‘স্ত্রীলোক প্রসবের সময় যখন অসুবিধার সম্মুখীন হয়, তখন খেজুর অপেক্ষা অন্য কোনো জিনিস উপকারী হত না, কারণ এটি রক্ত বৃদ্ধি করে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে শক্তি যোগাযোগ বৃদ্ধি করে।’
খেজুর সুস্বাদু এবং মানসিকভাবে উপভোগ্য খাদ্য। আল্লাহ তায়ালা হজরত মরিয়ামকে লক্ষ্য করে বলেছেন, ‘খেজুর গাছের কাণ্ডটি ধরে নিজের দিকে ঝাকুনি দাও, তাতে সদ্য পাকা খেজুর তোমার সামনে ঝরবে, তাতে তা খাও।’ (সুরা মারইয়াম: ২৫)
খেজুর অধিক পুষ্টিগ্রহণশীল খাদ্য হওয়ায় মহানবী (সা.) তা খেতে পছন্দ করতেন। আব্দুল্লাহ ইবন জাফর (রা.) বলেন, ‘আমি মহানবী (সা.)-কে তাজা পাকা খেজুর শসার সঙ্গে মিলিয়ে খেতে দেখেছি।’ (বুখারি) আয়েশা (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) তাজা খেজুরের সঙ্গে তরমুজ খেতেন।’ (বুখারি)
খেজুর গরম প্রকৃতির এবং শসা ও তরমুজের শীতল প্রকৃতির। খেজুর ও শসা/তরমুজ মিশে খাওয়া যেন তা ঠান্ডা দূর করে এবং শরীরের শক্তি বাড়ায়, যা রোগ-প্রতিরোধ বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে তরুণ রেখে।
আয়েশা (রা.) বলেন, ‘স্বামীর ঘরে পাঠানোর সময় মাতা মনে করলেন, আমার শরীর যেন হৃষ্টপুষ্ট হয়ে ওঠে। তাই তারা আমাকে খেজুর এবং শসা খেতে দেন। এতে আমি বেশ মোটাতাজা হতাম।’ (শামায়ে তিরমিজি)”