
বিনোদন ডেস্ক
নারীর স্তন শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত একটি সংবেদনশীল অঙ্গ। বিভিন্ন কারণে স্তনে ব্যথা হতে পারে, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘মাস্টালজিয়া’ নামে পরিচিত। হালকা অস্বস্তি থেকে তীক্ষ্ণ ব্যথা—সব বয়সী নারীই এটি অনুভব করতে পারেন।
চক্রাকার ব্যথা:
মাসিক চক্রের সঙ্গে সম্পর্কিত।
উভয় স্তনে অনুভূত হয়।
সাধারণত পিরিয়ডের আগে তীব্র হয় ও পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর কমে যায়।
২০-৪০ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
অ-চক্রাকার ব্যথা:
পিরিয়ডের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
যেকোনো স্থানে হতে পারে, ধ্রুবক বা ছড়ানো ব্যথা।
আঘাত, অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ ইত্যাদি কারণে হতে পারে।
স্তনে কোমলতা বা ব্যথা
জ্বালাপোড়া বা কাঁপানো অনুভূতি
স্তনে নিবিড়তা বা তীক্ষ্ণ ব্যথা
ফোলা বা ভারী স্তন
ব্যথা বগল বা বাহুতে ছড়িয়ে পড়া
হরমোনের পরিবর্তন:
পিরিয়ডের আগে বা গর্ভাবস্থার প্রথমে স্তন সংবেদনশীল হয়ে যায়।
মেনোপজ বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের কারণে হরমোনের ওঠা-নামা স্তনে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে।
আঘাত বা সংক্রমণ:
পেশীতে চাপ, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণ।
গর্ভাবস্থা:
প্রথম তিন মাসে স্তনের আকার বৃদ্ধি ও নীলশিরা দেখা দিতে পারে।
প্রদাহ বা সংক্রমণ হলে জ্বরের সঙ্গে ব্যথা হতে পারে।
সিস্ট:
স্তনের ভেতরে তরল ভর্তি সিস্ট।
হাত দিলে স্পর্শযোগ্য হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
স্তন্যদান:
শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় ব্যথা হতে পারে।
স্তন পরিষ্কার রাখা ও সংক্রমণ এড়ানো গুরুত্বপূর্ণ।
স্তন ক্যানসার:
দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা, বোঁটা, পুঁজ নিঃসরণ বা চাকা অনুভূত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।