সূর্যগ্রহণের সময় আয়নোস্ফিয়ারের রহস্য উন্মোচনের জন্য নাসা তিনটি রকেট উৎক্ষেপণ করবে। আগামী ৮ এপ্রিল, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডার কিছু অংশে একটি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। এই বিরল মুহূর্তটি কেবল আমাদের চোখেই উপভোগ করার সুযোগ থাকছে না, বিজ্ঞানও পাচ্ছে নতুন গবেষণার সুযোগ।
নাসা জানিয়েছে, তারা এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় আকাশে তিনটি বিশেষ রকেট পাঠাবে। এই রকেটগুলি 'সাউন্ডিং রকেট' নামে পরিচিত, যা গবেষণার উদ্দেশ্যে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বহন করে।
আরও পড়ুন, ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি!
কেন রকেট উৎক্ষেপণ করছে নাসা?
সূর্যগ্রহণের সময় আলো ও তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যায়। এই সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরের স্তর, যাকে আয়নোস্ফিয়ার বলা হয়, সেখানে বিভিন্ন রহস্যময় পরিবর্তন ঘটে। নাসা এই তিনটি রকেটের সাহায্যে সেই পরিবর্তনগুলি পর্যবেক্ষণ করতে চায়।
রকেটগুলি কীভাবে কাজ করবে?
রকেটগুলি ভার্জিনিয়ার ওয়ালপস দ্বীপ থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। সূর্যগ্রহণ শুরুর আগে ৪৫ মিনিট, মাঝামাঝি সময়ে এবং শেষ হওয়ার ৪৫ মিনিট আগে - এই তিনটি সময়ে আলাদা আলাদাভাবে রকেটগুলি আকাশে পাঠানো হবে। প্রতিটি রকেট আয়নোস্ফিয়ারের আলাদা অংশ পর্যবেক্ষণ করবে।
রকেটগুলোতে থাকা বিশেষ যন্ত্রগুলি আয়নোস্ফিয়ারের বৈদ্যুতিক ও চৌম্বকীয় ক্ষেত্র, ঘনত্ব এবং তাপমাত্রার পরিবর্তন পরিমাপ করবে। এই তথ্যগুলি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা সূর্যগ্রহণের সময় আয়নোস্ফিয়ারে কী কী পরিবর্তন ঘটে এবং আমাদের বায়ুমণ্ডল কীভাবে কাজ করে, তা আরও ভালভাবে বুঝতে পারবেন।
এই গবেষণার গুরুত্ব
এই গবেষণা আমাদের বায়ুমণ্ডল এবং সূর্যের মধ্যে সম্পর্ক আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, এই তথ্যগুলি জিপিএস, রেডিও যোগাযোগ এবং আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি উন্নত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
এর আগেও কি সূর্যগ্রহণের সময় রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে?
হ্যাঁ, এর আগেও নাসা সূর্যগ্রহণের সময় রকেট উৎক্ষেপণ করেছে। ২০২৩ সালের ১৪ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস মিসাইল রেঞ্জ থেকে তিনটি রকেট আয়নোস্ফিয়ারে পাঠানো হয়েছিল।