সূরা কাহাফ কোরআনের ১৮ নম্বর সূরা।
এই সূরায় মোট ১১০ টি আয়াত এবং ১২ টি রুকু রয়েছে।
সূরা কাহাফের নামকরণ করা হয়েছে গুহাবাসী যুবকদের ঘটনার নাম অনুযায়ী। এই সূরায় আল্লাহর একত্ব, নবীদের রিসালাত এবং পরকালের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
জুমার দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াতের গুরুত্ব:
নবী ﷺ বলেছেন: “যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে।” (মিশকাত ২১৭৫)
হজরত আলী رضی الله عنه থেকে বর্ণিত: “নবী ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, সে আট দিন পর্যন্ত সবধরনের ফেৎনা থেকে নিরাপদ থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফিৎনা থেকেও নিরাপদ থাকবে।”
হজরত আবু দারদা رضی الله عنه থেকে বর্ণিত: “নবী ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে।” (সহিহ মুসলিম : ৮০৯, আবু দাউদ : ৪৩২৩)
আল্লাহ পাক এই সূরার তেলাওয়াতকারীকে কবরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবেন। ([সহিহ তিরমিযি : ২৫৪১])
সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্তকারীকে দাজ্জালের ফিৎনা থেকে রক্ষা করা হবে। ([সহিহ মুসলিম : ৮০৯])
যে ব্যক্তি প্রতিদিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর প্রস্তুত করা হবে। ([ইবনে মাজাহ : ৪০১৮])
সূরা কাহাফ তিলাওয়াতকারীকে সাহাবিদের সাথে সঙ্গী হওয়ার সৌভাগ্য দেওয়া হবে। ([আল-হাকিম : ৩/৪৭৬])
এই সূরা তিলাওয়াতকারী ব্যক্তির উপর রহমতের ফেরেশতাদের নজর থাকে। ([আল-দারিমি : ২৩৮৭])
সূরা কাহাফ তিলাওয়াতের নিয়ম:
সূরা কাহাফ পড়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময়:
সূরা কাহাফের কিছু বিশেষ দিক:
উপসংহার:
সূরা কাহাফ পবিত্র কোরআনের একটি অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ সূরা।