জাতিসংঘের আশঙ্কা, শিগগির সাহায্য না পৌঁছালে ব্যাপক অনাহার ও মৃত্যু
গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত সুদানে দেখা দিয়েছে তীব্র খাদ্য সংকট। জাতিসংঘের খাদ্যবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, শিগগিরই যদি সহায়তা না পৌঁছায়, ব্যাপক অনাহার ও মৃত্যুঝুঁকি দেখা দিতে পারে।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের অনেক অঞ্চলে মসজিদ থেকে সপ্তাহে দুই তিনদিন সামান্য পরিমাণে খাবার সরবরাহ করা হয়। খাদ্য সংকট এমন পর্যায়ে গেছে যে ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে, দেশটির বাসিন্দারা ঘাস, গাছের পাতা, বাদামের খোসা এমনকি মাটি পর্যন্ত খাচ্ছেন।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে সুদানে। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি পশ্চিম সুদানের দারফুরে। এই অঞ্চলে ১৭৬ লাখের বেশি মানুষ তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে। ডব্লিউএফপি যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে সতর্ক করে বলেছে যে, মানবিক সাহায্যের অনুমতি না দিলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে।
পূর্ব আফ্রিকার ডব্লিউএফপির আঞ্চলিক পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড বলেছেন, “দ্রুত তাদের কাছে সহায়তা না পৌঁছালে দারফুর ও সংঘাত বিধ্বস্ত সুদানের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক অনাহার এবং মৃত্যুঝুঁকি দেখা দিতে পারে।”
গত বছর সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। পরে এই সংঘাত দেশটিতে গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় লাখ লাখ মানুষ। যুদ্ধের কারণে দেশটির কৃষি উৎপাদন কমে গেছে ৭৮ শতাংশ।
চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে এই মুসলিম দেশে ৪৬ লাখ শিশুসহ প্রায় এক কোটি মানুষ উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, এমন অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে দুই কোটির বেশি মানুষের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।