
বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ আসাদুজ্জামান
সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের এক কর্মকর্তা রাজ্জাকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, রাজ্জাক ফরেনসিক বিভাগে কাজ করার সুযোগ নিয়ে মানুষদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করতেন এবং দীর্ঘ সময় ধরে রিপোর্ট না দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করতেন।
রাজ্জাক সিআইডি ফরেনসিক বিভাগে কর্মরত থাকায় এখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষজন যাতায়াত করেন। সাধারণ মানুষরা বিভিন্ন অপঘাতে মৃত্যু, অস্বাভাবিক মৃত্যু বা নানান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ভিজেরা ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট পেতে এখানে আসেন। অনেক সময় রিপোর্ট পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে সপ্তাহ বা মাস অপেক্ষা করতে হয়। এই অসহায় অবস্থার সুযোগ নিয়ে রাজ্জাক লোকজনকে প্রতারণার শিকার করছেন বলে অভিযোগ।
একজন ভুক্তভোগী সালমা খাতুন জানান, রাজ্জাক তাকে রিপোর্ট দ্রুত পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ৩৪,০০০ টাকা বিকাশে গ্রহণ করেন। সালমা খাতুনের নবজাতক সন্তানের উপর হত্যা মামলার তদন্তে স্যাম্পল ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়। রাজ্জাক সালমাকে বলেছিলেন, রিপোর্ট দ্রুত বের করে দেবেন।
তবে, এক বছর পার হলেও রাজ্জাক কোনো রিপোর্ট সরবরাহ করেননি এবং টাকা ফেরতও দেননি। সালমা খাতুন বারবার ফোন করে রাজ্জাককে টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, কিন্তু তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুযায়ী, রাজ্জাকের এমন আচরণ শুধু সালমা খাতুনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নাও থাকতে পারে; সম্ভাব্যভাবে তিনি বহু মানুষের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ গ্রহণ করেছেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের পর বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তকারীরা বলছেন, ফরেনসিক রিপোর্ট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের উপর নজরদারি বৃদ্ধির প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের জন্য এই ধরনের আচরণ সমাজে অনাস্থা তৈরি করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার ভাবমূর্তির জন্যও ক্ষতিকর।
সালমা খাতুনের মতো আরও অনেকে যদি এই ধরনের প্রতারণার শিকার হন, তবে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি।