নিউজ ডেক্স, আমার সকাল ২৪
বগুড়ার শেরপুরে একটি বালিকা বিদ্যালয়ে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই শিক্ষকের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেকেই ক্লাস না করে বাড়ি ফিরে যায়।
রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে শেরপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শেরপুর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীন।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহেব আলী অভিযোগ করেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে তিনি ট্রেড ইনস্ট্রাক্টর মাহমুদুল হাসান শিমুলের কাছে ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড চান। কিন্তু শিমুল তা দিতে টালবাহানা করেন এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। একপর্যায়ে তাকে মারধর করা হয় এবং পরে বহিরাগত কয়েকজন এসে দোতলা থেকে নিচতলা পর্যন্ত টেনে নামিয়ে মারধর করে। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুল হাসান শিমুল বলেন, সাহেব আলী পাসওয়ার্ড ব্ল্যাক বোর্ডে লিখে দিতে বলেন। প্রধান শিক্ষকের অনুমতি ছাড়া তা করতে রাজি না হওয়ায় সাহেব আলী গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টা করেন। পরে তিনি সহকারী প্রধান শিক্ষকের রুমে বিচার চান, সেখানে গিয়েও সাহেব আলী তাকে আঘাত করেন বলে দাবি করেন শিমুল।
সহকারী প্রধান শিক্ষক মোজাফফর আলী জানান, প্রথমে শিমুল তার রুমে এসে মারধরের অভিযোগ করেন। কিছুক্ষণ পর সাহেব আলীও এসে পাল্টা অভিযোগ করেন, ফলে পুনরায় হাতাহাতির পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ সময় বহিরাগত কয়েকজন বিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ শেখ বলেন, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শেরপুর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।