শুক্রবার মুসলমানদের কাছে সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। এ দিনে আদম (আঃ) সৃষ্টি করা হয়েছিল, জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
শুক্রবারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল:
1. জুমার নামাজ:
2. দরূদ শরীফ পাঠ:
দরুদ শরিফ হচ্ছে নবী মুহাম্মদ (সাঃ)-এর প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশের মাধ্যম। দরুদ শরিফ পাঠের মাধ্যমে আমরা নবী (সাঃ)-এর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করি এবং আল্লাহর কাছে তাঁর জন্য রহমত ও বরকতের দোয়া করি।
দরুদ শরিফের অগণিত ফজিলত রয়েছে। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য ফজিলত হলো:
গুণাহ্ ও পাপের ক্ষমা: দরুদ শরিফ পাঠের মাধ্যমে গুণাহ্ ও পাপের ক্ষমা পাওয়া যায়। হাদিসে রয়েছে, “যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহতায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন।” (সহিহ মুসলিম)
সওয়াব: দরুদ শরিফ পাঠের মাধ্যমে প্রচুর সওয়াব পাওয়া যায়। হাদিসে রয়েছে, “যে ব্যক্তি আমার প্রতি একশবার দরুদ পাঠ করবে তার জন্য একশটি নেক আমল লেখা হবে।” (তিরমিজি)
জান্নাতের দরজা খোলা থাকে: দরুদ শরিফ পাঠকারীর জন্য জান্নাতের দরজা খোলা থাকে। হাদিসে রয়েছে, “যে ব্যক্তি আমার প্রতি দশবার দরুদ পাঠ করবে তার জন্য জান্নাতের দশটি দরজা খোলা হবে।” (ইবনে মাজাহ)
ফেরেশতাদের দোয়া: দরুদ শরিফ পাঠকারীর জন্য ফেরেশতারা দোয়া করে। হাদিসে রয়েছে, “যে ব্যক্তি আমার প্রতি দরুদ পাঠ করবে সেই মুহূর্তে তার জন্য দশজন ফেরেশতা দোয়া করবে।” (আহমাদ)
মন পরিষ্কার হয়: দরুদ শরিফ পাঠ মনকে পরিষ্কার করে এবং আধ্যাত্মিকতার দিকে মনোযোগ বাড়ায়।
3. সূরা কাহাফ পাঠ:
4. জুমার দিনের দান:
5. জুমার দিনের ইস্তেগফার:
6. জুমার দিনের ওয়াজ-নসীহত শোনা:
7. জুমার দিনের দোয়া:
8. জুমার দিনে সূরা ইয়া-সীন তিলাওয়াত:
সূরা ইয়া-সীন:
কুরআনের হৃদয়: হাদিসে রয়েছে, “সূরা ইয়া-সীন কুরআনের হৃদয়।” (তিরমিজি)
গুণাহ্ ও পাপের ক্ষমা: জুমার দিন এই সূরা তিলাওয়াত করলে পূর্ববর্তী জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত সকল পাপ ক্ষমা পেয়ে যায়। (তিরমিজি)
মৃত্যুর সময় সান্ত্বনা: এই সূরা তিলাওয়াতকারীর মৃত্যুর সময় ফেরেশতারা তাকে সান্ত্বনা দেবে। (তিরমিজি)
কবর থেকে উঠে আসার সময় আলো: এই সূরা তিলাওয়াতকারীর কবর থেকে উঠে আসার সময় তার মুখ উজ্জ্বল হবে এবং তার জন্য আলো জ্বলে উঠবে। (তিরমিজি)
জান্নাতের দরজা খোলা: এই সূরা তিলাওয়াতকারীর জন্য জান্নাতের দরজা খোলা থাকবে। (তিরমিজি)
9. জুমার দিনের পরিবারের সাথে সময় কাটানো:
10. জুমার দিনের গোসল:
এছাড়াও শুক্রবার দিনের আরও অনেক আমল রয়েছে।
আমাদের উচিত শুক্রবার দিনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে এ দিনের আমলগুলো যথাযথভাবে পালন করা।
ইসলামের দৃষ্টিতে জুমার দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ। এ দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়। জুমার ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এবং রাসূল (সাঃ) বহু হাদিসে বর্ণনা করেছেন।
জুমার দিনের কিছু বিশেষ ফজিলত:
ইসলামে জুমার দিন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনে মুসলমানরা জুমার নামাজ আদায় করে, জ্ঞান অর্জন করে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের চেষ্টা করে। মহিলাদের জন্যও জুমার দিন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
এই দিনে মহিলারা বিভিন্ন আমল করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল নীচে উল্লেখ করা হলো:
১. জুমার গোসল: জুমার দিন গোসল করা সুন্নত। মহিলাদের জন্যও জুমার গোসল করা উচিত।
২. জুমার নামাজ: জুমার নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ। মসজিদে গিয়ে জামায়াতে জুমার নামাজ আদায় করা সবচেয়ে উত্তম। তবে, মহিলারা যদি মসজিদে যেতে না পারেন, তাহলে ঘরে বসে জুমার নামাজ আদায় করতে পারেন।
৩. তিলাওয়াত: জুমার দিন তিলাওয়াতের গুরুত্ব অনেক বেশি। মহিলারা জুমার দিন বিশেষ করে সূরা ইয়া-সীন ও সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করতে পারেন।
৪. দোয়া: জুমার দিন দোয়া কবুলের সময়। মহিলারা জুমার দিন বিশেষ করে নিজেদের, পরিবার, সমাজ এবং উম্মাহর জন্য দোয়া করতে পারেন।
৫. জ্ঞান অর্জন: জুমার দিন জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করা উচিত। মহিলারা ইসলামী জ্ঞান, নীতিশাস্ত্র, ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।
৬. সৎকর্ম: জুমার দিন সৎকর্ম করার চেষ্টা করা উচিত। মহিলারা গরিব-মিসকিনদের সাহায্য করতে পারেন, এতিমদের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে পারেন, ইত্যাদি।
৭. পরিবারের সাথে সময় কাটানো: জুমার দিন পরিবারের সাথে সময় কাটানো উচিত। মহিলারা পরিবারের সদস্যদের সাথে গল্প করতে পারেন, খেলাধুলা করতে পারেন, ইত্যাদি।
৮. পর্দা: জুমার দিন পর্দার বিষয়ে বিশেষভাবে সতর্ক থাকা উচিত। মহিলারা বাইরে বের হওয়ার সময় যেন যথাযথ পোশাক পরেন এবং নিজেদের শরীর ঢেকে রাখেন।
উল্লেখ্য যে, এছাড়াও আরও অনেক আমল রয়েছে যা মহিলারা জুমার দিন করতে পারেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আন্তরিকতার সাথে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের চেষ্টা করা।
ইসলামে জুমার দিনকে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে:
ধর্মীয় গুরুত্ব:
সামাজিক গুরুত্ব: