
মোঃ বিল্লাল হোসেন
ক্রাইম রিপোর্টার, যশোর
যশোর জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি, কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, কেশবপুর ৩নং মজিদপুর ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত সফল চেয়ারম্যান শহীদ জননেতা আবু বক্কর আবু-এর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৮ নভেম্বর ২০২৫, বিকাল ৩টায় কেশবপুর অডিটোরিয়ামে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নির্যাতিত নেতা–কর্মীদের অভিভাবক আবুল হোসেন আজাদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সভাপতি, বর্তমান কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং যশোর-৬ কেশবপুর আসনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রাপ্ত নেতা কাজী রনকুল ইসলাম শ্রবন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—
কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (স্যার)
কেশবপুর ৬নং সদর ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আলাউদ্দীন (আলা)
কেশবপুর উপজেলা বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অমলেন্দু দাস অপু (প্রধান বক্তা)
৭নং পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মকবুল হোসেন মুকুল
পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ বিশ্বাস
কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মোঃ মশিয়ার রহমান
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম
অন্যান্য ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, যুবদল, ছাত্রদল এবং বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীবৃন্দ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্মরণসভার প্রধান সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমন।
নেতারা বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মনোনয়নপত্র জমা দিতে আবু বক্কর আবু ঢাকায় যান এবং একটি হোটেলে ওঠেন। সেখান থেকে তিনি নিখোঁজ হন। পরে বুড়িগঙ্গা নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়। কেরানীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা হলেও আজও হত্যাকাণ্ডের কোনো সুরাহা হয়নি।
ফোনকারীর পরিচয়, হত্যাকারী, উদ্দেশ্য—কোনোটিই এখনো উদঘাটন করতে পারেনি প্রশাসন।
নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে আবু বক্কর আবুর হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও খুনিদের গ্রেফতারসহ উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান।
অনুষ্ঠানের শেষে মরহুমের কবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল ও তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে স্মরণসভা শেষ হয়।