ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবের একটি ট্রান্সজেন্ডার গল্প “শরীফ থেকে শরীফা” এর পাতা ছেঁড়া সংক্রান্ত বিবৃতি জানা গিয়েছে। এটি সম্পর্কে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে একটি বিবৃতি জারি করেছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আসিফ মাহতাব বর্তমানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষক নন, তার সাথে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কোনো চুক্তি নেই। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কর্মীদের চুক্তির গোপনীয়তা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ক্যাম্পাসে সহযোগিতামূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আচরণের প্রশংসা করে।
এছাড়া, বিবৃতিতে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সেমিনারে যোগ দেওয়ার পর আসিফ মাহতাব জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম, এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের উপস্থিতিতে সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত সেমিনারে আসিফ মাহতাব ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক “বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ” এর দুটি পাতা ছেঁড়েন। এই ঘটনায় তিনি অংশগ্রহণকারীদের কে ৮০ টাকা দিয়ে বইটি কিনতে বলেছেন। তবে পরে বইটির ট্রান্সজেন্ডার গল্পের দুটি পাতা ছিঁড়ে আবার দোকানে ফেরত দিতে বলেছেন।
এই ঘটনা পরে রোববার (২১ জানুয়ারি) রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মাহতাব লেখেছেন, ‘আজকে আমি ব্র্যাকে রেগুলার ক্লাস নিয়েছি। আমাকে এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে যে, আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস নিতে না যাই। আমি জানি না হঠাৎ করে এই সিদ্ধান্ত তারা কেন নিল। আমাকে কোনো কারণ তারা দেয়নি।’