আরিফ হাসান গজনবী
প্রতিনিধি (রামপাল) বাগেরহাট
বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও ঘের দখলের চেষ্টা করছে আবুবকার (ছুট্টি)গং।বাঁশতলী ইউনিয়নের চন্ডীতলা এলাকায় সন্তোষ কুমার বৈরাগী বলেন আমাদের বাড়ির পাশে নিজেদের জমিসহ হারিতে নেওয়া মোট আড়াই বিঘা জমির একটি মৎসঘের রয়েছে।আমি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পোনা ছেড়ে মৎস্যঘেরটি করে আসতেছি।২মাস পূর্বে আমার এই মাছভরা ঘেরটি দখলে নেয় আবুবকার ছুট্টি ও তার লোকজন। এর পর হতে এই ছুট্টি বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতি প্রদান করে আসতেছে।যার কারনে রাতে বাড়ি ঠিকমতো ঘুমোতেও পারতেছি না। এই ছুট্টি রাতে আমার বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন জায়গায় উলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ও বাড়িতে থাকা মহিলাদের উদ্দেশ্যে গালাগালিসহ বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান শুরু করে।মহিলারা দিনের বেলাও ভয় পাচ্ছে ঘরের বাহিরে বের হতে।
৯/৪/২৫ তারিখে আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ :২৫ মিনিটের সময় ইমরান ফকির ও মনি ফকির পরিকল্পিত ভাবে মোটরসাইকেল যোগে আমাদের বাড়ি এসে জোরপূর্বক আমার চাচা অমর কৃষ্ণ বৈরাগী (৭০) কে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় আমার মা পারুল বৈরাগী, আমার স্ত্রী তৃষ্ণা বৈরাগী, আমার চাচি শান্তি রাণী বৈরাগী, আমার চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী অর্পিতা বৈরাগী তাদের বাধা প্রদান করলে ছুট্টি ও মামুন ফকির ঘটনাস্থলে আসে।এসময় সকল বিবাদীগন মিলে অকথ্য ভাষায় তাদের উদ্দেশ্যে গালিগালাজসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে।এ সময় তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন চুটে আসতে দেখে বিবাদীগন ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে থাকে এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করে বলে তোদেরকে এলাকা ছাড়া করবো এবং রাস্তায় পেলে খুন করে ফেলবো।এ ঘটনার অনেক স্বাক্ষী আছেন।আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।প্রসাশনের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে রামপাল থানার অফিসার ইনর্চাজ জনাব সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।