নিজস্ব প্রতিনিধি:
রাজশাহী নগরীর শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষক এমপিওভুক্তিতে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক মো. মানিক উদ্দিনকে এমপিওভুক্ত করতে শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও কলেজটির প্রাক্তন শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান রাজু। তিনি সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (মাউশি), রাজশাহী আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে লিখিতভাবে বিষয়টি তুলে ধরেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ইন্টারমিডিয়েট কলেজে একটি বিষয় এমপিওভুক্ত করতে হলে ন্যূনতম ৬০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হয়। অথচ প্রতিষ্ঠানটিতে প্রথম বর্ষে ১ জন ও দ্বিতীয় বর্ষে ৩ জন—মোট ৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এ অবস্থায় অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম নকল তালিকা তৈরি করে ৬৫ জন শিক্ষার্থীর নাম, ছবি ও স্বাক্ষর জাল করেন এবং তা দেখিয়ে প্রভাষককে এমপিওভুক্ত করেন।
এতে করে তথ্য গোপন, প্রতারণা ও অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আমি এখন ব্যস্ত, পরে নথিপত্র দেখে জানাবো।”
অভিযোগ ওঠার পরও তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন, যা প্রশাসনিক নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।