মোঃ শাকিল আহামাদ জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
রাজশাহী গোদাগাড়ীতে বিদেশ পাঠাবো ও বিভিন্ন কর্মসংস্থান তৈরি করে দিব বলে ২৯/৩০ জনের কাছ থেকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে প্রায় ৩ কোটি টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক দাম্পত্তি সুকতারা ও তার স্বামী মনিরুজ্জামান ।
এরা রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকায় সুকতারা বেগম ও তার স্বামী মনিরুজ্জামান বসবাস করছিলো। সুকতারার গ্রামের বাড়ি বাসুদেবপুরে ও তার স্বামী মনিরুজ্জামানের গ্রামের বাড়ি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার কামরাঙ্গাচালা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে প্রতারণার অভিযোগ এনে ৪ জানুয়ারী শনিবার বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থা গোদাগাড়ী উপজেলা শাখার কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে। সাংবাদিক সম্মেলনে ভুক্তোভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ভুক্তোভোগী মোসাঃ শারমিন খাতুন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, প্রতারক সুকতারা ও তার স্বামী মনিরুজ্জামান ৪-৫ বছর আগে বাসুদেবপুর গ্রামে এসে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করে এবং বাসুদেবপুর হাই কেয়ার মোড়ে একটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে ছোট পরিসরে একটি গার্মেন্টস এর ব্যবসা শুরু করে। এই সুবাদে ধীরে ধীরে এলাকার মানুষের সাথে পরিচয় হয়। এলাকায় প্রতারক দম্পতি উদ্যোক্তা হিসেবে, কুটির শিল্প গড়ে তোলা প্রস্তাব, কাথা সেলাই, বুকিক্স এর কাজ জামা কাপড় বিভিন্ন ডিজাইনার ইত্যাদি বলে পরিচয় দেই। সবাইকে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখাই, বিদেশে পাঠানো, বিভিন্ন দপ্তওে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে স্বল্প সুদের ব্যাঙ্ক ঋণের মাধ্যমে পুজির ব্যবস্থা করে দিবে বলে আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে ২৯/৩০ জনকে বিভিন্ন কৌশলে ব্যাংক ও এনজিও থেকে লোন উত্তোলন করায় বলে ব্যবসার পুঁজির হিসাবে টাকা ব্যবহার করা হবে। অতঃপর কিছুদিন লাভাংশ হিসেবে কিছু ব্যক্তিকে টাকাও প্রদান করে। তারা এলাকায় আসার দেড় বছরের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় জমি, বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করে। সে বাড়িতে আওয়ামী লীগের দলীয় সন্ত্রাসীবাহিনীদের নিয়ে ভোজ সভা, পার্টি ইত্যাদি সেখানে তারা করত। গ্রামের সবাইকে ক্ষমতার দাপট দেখা তো এমপির ভয় দেখিয়ে।
গ্রামের প্রায় ২৯/৩০ মানুষকে লোভ দেখিয়ে প্রায় ২/৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেই। টাকা হাতিয়ে নিয়ে গত ৫ আগস্ট সরকারের পতন হওয়ার সাথে সাথেই তারাও পালিয়ে আত্বগোপনে চলে যায়।
ভুক্তভোগীরা প্রতারক দম্পতির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেই কিন্তু পরবর্তীতে টাকা ফেরত দিতে নানা প্রকার টাল-বাহানা শুরু করে, এ অবস্থায় ভুক্তভোগীরা একত্রিত হয়ে প্রতারক দম্পতিকে এলাকায় এসে হিসাব পরিশোধ করতে বললে কোনো টাকা ফেরত দিবে না বলে হুমকি প্রদান করে বেশি বাড়াবাড়ি করলে প্রত্যেক বিভিন্ন মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। ইতিমধ্য বাসুদেবপুরের বাড়িতে বিক্রয়ের আলোচনা চলছে। কিন্তু ভুক্তভোগীরা প্রতিবাদ করলে ক্রেতাগণ নিতে চায়না।
প্রতারণার ফাঁদে পড়ে এলাকার অনেকেই গরিব অসহায় মানুষ একদম নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। তাদের সুবিচার ও প্রাপ্ত টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট শুভদৃষ্টি কামনা করেছে।