মোঃ শাকিল আহামাদ জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
বাগমারায় অবিষ্ফোরিত ককটেলসহ দুই বস্তা দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২ টার দিকে র্যাব-৫, রাজশাহী ও থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে উপজেলা সদর ভবানীগঞ্জস্থ প্রাণিসম্পাদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনে পরিত্যাক্ত একটি ঘরের ঝোপের মধ্যে থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের গণঅভ্যুত্থানের আগমূহুর্তে রাজশাহী-৪, বাগমারা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে প্রায় দুইশতাধিক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভবানীগঞ্জ বাজারে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দেয় এবং বিএনপি ও জামায়াত পন্থী নেতা-কর্মীদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়।
এ সময় ছাত্র-জনতার কোঠা আন্দোলনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় হামিরকুৎসা ইউনিয়নের খাঁপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন ও গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের রামরামা গ্রামের ব্যবসায়ী শিমুল আলীকে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরাদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো দুটি বস্তায় ভরে ভবানীগঞ্জ প্রাণিসম্পাদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনে পরিত্যাক্ত একটি ঘরের ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে রেখে তারা পালিয়ে যায়। থানার ওসি তোহিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অবিষ্ফোরিত একটি ককটেল, ১৫ টি চাইনিজ কুড়াল, ৬ টি লোহার রড (পাইপ) একটি দা, তিনটি ছুরি ও হাসুয়াসহ বিভিন্ন ধরণের কিছু দেশীয় উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে অন্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
এদিকে ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন ও শিমুল আলীকে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় রাজশাহী-৪, বাগমারা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ একটিতে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে এবং অপরটিতে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫০-২০০ জনের বিরুদ্ধে থানায় পৃথকভাবে দুটি মামলা করা হয়েছে। ওই দুটি মামলায় ভবানীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র পৌর আ.লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।