
বিশেষ প্রতিনিধি : মোঃ আসাদুজ্জামান
রাজধানী ঢাকায় চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এখন সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং নাগরিক ঐক্যের মতো দলগুলো ইতোমধ্যে সতর্ক থাকার বিষয়টি ঘোষণা করেছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘিরে রাজধানীতে চোরাগোপ্তা হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এতে জনমনে উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও রাজধানীজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
‘জুলাই আন্দোলন’-এর পক্ষের দলগুলো — বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও অন্যান্য জোটভুক্ত দল — ঘোষণা দিয়েছে, তারা যেকোনো সহিংস বিক্ষোভ প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করবে এবং মাঠে সক্রিয় থাকবে।
যদিও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম বর্তমানে নিষিদ্ধ, তথাপি তাদের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলো সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য না থাকলে এবং বিভাজন গভীর হলে নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মত দিয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে যেসব পরাজিত শক্তি বাধা দিতে চায়, তাদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।"
এদিকে, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সকল দলকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে কোনো সংঘর্ষের আশঙ্কা না থাকে।
জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি ইসলামপন্থী দল পাঁচ দফা দাবিতে আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকায় বৃহৎ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। তারা সরকারকে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করেছে, অন্যথায় ঢাকার পরিস্থিতি “ভিন্ন আকার ধারণ করবে” বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।