
বিশেষ প্রতিনিধি: মোঃ আসাদুজ্জামান
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় ৪৬ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিসি মিডিয়া তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
ডিএমপি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শেরেবাংলা নগর থানা থেকে ১৮ জন, সিটিটিসি (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) থেকে ১৩ জন, খিলক্ষেত থানা ৪ জন, উত্তরা থানা ২ জন, বাড্ডা থানা ৩ জন, বনানী থানা ৩ জন এবং তেজগাঁও থানা থেকে ৩ জন।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। শেরেবাংলা নগর থানা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন আনিসুজ্জামান রনি, মুন্না মিয়া, জাকির হোসেন খান, কামরুজ্জামানসহ আরও ১৮ জন। সিটিটিসি অভিযান পরিচালনা করে রফিকুল ইসলাম, সুমন হোসেন, মেজবাউল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান জনি, রাশেদুজ্জামান, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে।
খিলক্ষেত থানার পুলিশ শুক্রবার সকাল ৭:৩৭ মিনিটে খিলক্ষেত এলাকায় ৩০০ ফিটস্থ পুরাতন মস্তুল চেকপোস্টে নিষিদ্ধ ঘোষিত মিছিলের প্রস্তুতি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ উপস্থিতি টের পেয়ে নেতাকর্মীরা পালানোর চেষ্টা করলে আনিসুজ্জামান রনি, মুন্না মিয়া, জাকির হোসেন ও কামরুজ্জামানকে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ ৯ নম্বর সেক্টর এলাকায় আকাশ টাওয়ারের সামনে ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতির সময় মোমিনুল হাসান ও রকিবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে। বাড্ডা থানায় প্রগতি সরণি মেইন রোডে ইয়াসিন আরাফাত, তাসরীপ হোসেন ও খালেদ বিন কাওসারকে হাতেনাতে আটক করা হয়। বনানী থানার পুলিশ বনানী ঢাকা গেট এলাকায় এবং তেজগাঁও থানার পুলিশ বিজয় সরণি এলাকায় ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণের সময় আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে।
ডিএমপি জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে সরকারবিরোধী কার্যক্রম চালানোর উদ্দেশ্যে মিছিলের আয়োজন করছিল। পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে তাদের মিছিল রুখে দেওয়া হয়েছে। ডিএমপি এই ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে সতর্ক রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা অব্যাহত রাখবে।