ঢাকা: চৈত্র সংক্রান্তির রাতে রাজধানী ঢাকায় আলপনা উৎসবে মাতোয়ারা হয়েছে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পিচঢালা পথে দুই শতাধিক শিল্পী এবং কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই উৎসবে রঙিন হয়ে ওঠে চারপাশ।
ষড়ঋতুর রঙে রাঙানো রাস্তা: ষড়ঋতুর ছয়টি রঙে রঙিন করা হয়েছিল রাস্তা। বুকজুড়ে আলপনা আঁকা হয়েছিল, যেখানে জ্বলজ্বলে করে লেখা ছিল প্রিয় বাংলা ভাষার অমূল্য অক্ষর। চাঁদের আলোয় বিশাল আকাশের নিচে একসাথে শিশুরা হাতে হাতখড়ি নিয়ে নতুন বাংলা বছর বরণ করার আলপনা আঁকছিল। তুলির আঁচড়ে শুধু সৌন্দর্যই ফুটে ওঠেনি, বরং এতে মিশেছিল বাঙালির হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও প্রাণের উচ্ছ্বাস।
শুধু শিল্পীই নয়, সকলের অংশগ্রহণ: শুধু শিল্পীদের হাতেই তুলি ছিল না। ১৪৩১ সাল বরণ করতে নিয়ন আলোয় ঝলমলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নেমে এসেছিল হাজারো মানুষের ঢল। নিজের হাতে রঙ ও তুলি নিয়ে ভালোবাসা ও আনন্দ ভাগ করে নেয় নগরবাসী। অনেকেই বলছিলেন, এতদিন পর এমন আনন্দের উৎসবে অংশ নেওয়া হচ্ছে ভাবতেও অবাক লাগছে। বাঁধ ভেঙে উচ্ছ্বাসে মেতেছিল শিশু, তরুণ-তরুণীরা।
আরও পড়ুন, ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি!
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর বার্তা: আলপনা উৎসবের এই মাহেন্দ্রক্ষণে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিরচেনা সংস্কৃতি বজায় রাখার ডাক দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।
গান ও নাচে মুখর রাত: আলপনার পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলা গানের সুর ও নাচের তালে মাতোয়ারা হয়েছিল নগরবাসী।
একসাথে বাংলা নববর্ষ বরণ: এই আলপনা উৎসব শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল না, বরং একসাথে বাংলা নববর্ষ বরণের আনন্দে মুখর ছিল সকলের মন। ষড়ঋতুর রঙ, আলপনার নকশা, গান ও নাচ মিলে মিশে এক অপূর্ব পরিবেশের সৃষ্টি করেছিল।
উৎসবের তাৎপর্য: এই উৎসব শুধু আনন্দ-উৎসবই ছিল না, বরং বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ ও বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।