কোন ধরণের পশু কোরবানি করা যাবে:
- গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা – এই ছয় প্রকারের পশু কোরবানি করা জায়েজ।
- অন্যান্য পশু – শিয়াল, কুকুর, বিড়াল, গর্দভ, ঘোড়া ইত্যাদি পশু কোরবানি করা যাবে না।
কোরবানির পশুর বয়স:
- উট: কমপক্ষে পাঁচ বছর বয়সী হতে হবে।
- গরু ও মহিষ: কমপক্ষে দুই বছর বয়সী হতে হবে।
- ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা: কমপক্ষে এক বছর বয়সী হতে হবে।
কোরবানির পশুর শারীরিক অবস্থা:
- নির্দোষ ও সুস্থ: কোরবানির পশু অবশ্যই নির্দোষ ও সুস্থ হতে হবে।
- অন্ধ, লাঙ্গড়া, অসুস্থ, দুর্বল, ভেঙে-চুঁড়ে যাওয়া ইত্যাদি পশু কোরবানি করা যাবে না।
- গর্ভবতী পশু কোরবানি করা মাকরুহ।
কোরবানির পশুর লিঙ্গ:
- নর ও মাদী উভয় লিঙ্গের পশুই কোরবানি করা যাবে।
- তবে, নর পশু কোরবানি করা উত্তম।
কোরবানির পশুর সংখ্যা:
- একজন ব্যক্তি একটি গরু, মহিষ বা উটের সাত ভাগের এক ভাগ কোরবানি করতে পারেন।
- একজন ব্যক্তি একটি ছাগল, ভেড়া বা দুম্বা পুরোপুরি কোরবানি করতে পারেন।
কোরবানির পশুর মূল্য:
- কোরবানির পশুর মূল্য নির্ধারণ করা হয় না।
- আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যেকোনো মূল্যের পশু কোরবানি করা যাবে।
কোরবানির পশুর মাংস বন্টন:
- কোরবানির পশুর এক তৃতীয়াংশ নিজেদের জন্য রাখা যাবে।
- বাকি দুই তৃতীয়াংশ দরিদ্র ও অভাবীদের মধ্যে বিতরণ করা উচিত।
উল্লেখ্য যে, কোরবানির পশু নির্বাচনের সময় উপরোক্ত বিষয়গুলো ছাড়াও আরও কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিত।