
বিশেষ প্রতিনিধি: মোঃ আসাদুজ্জামান
ঢাকা: বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার ‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে। এই অধ্যাদেশে গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। অধ্যাদেশটি ১ ডিসেম্বর, ২০২৫-এ জারি করা হয়।
প্রধান বিধানসমূহ:
১. গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
২. গুমের অপরাধের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন; অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা।
৩. গুমকে ‘চলমান অপরাধ’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
৪. শৃঙ্খল বাহিনীর সদস্যদের (সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, বিজিবি) বিরুদ্ধেও এই আইন প্রযোজ্য।
৫. গোপন আটককেন্দ্র বা ‘আয়নাঘর’-এর মতো স্থাপন ও ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
৬. ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, সাক্ষী ও তথ্য প্রদানকারীর সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণ ও আইনি সহায়তা।
৭. জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত করতে পারবে।
৮. গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য তহবিল ও তথ্যভাণ্ডার স্থাপন।
উল্লেখ্য, এই অধ্যাদেশের খসড়া ৬ নভেম্বর, ২০২৫-এ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদিত হয়েছিল।