
মোঃ আসাদুজ্জামান, বিশেষ প্রতিনিধি
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রস্তুতি চলছে। কমিশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ভোটকেন্দ্র যাচাই-বাছাই ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এসব উদ্যোগে বোঝা যাচ্ছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনাররা নির্বাচনের আয়োজন নিয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।
তবে মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট মহল। কারণ, জেলা পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তাকে বদলি করা হলেও উপজেলা বা মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরিবর্তন করা হয়নি।
বিশেষ করে বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ২০২২–২৩ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত অনেক কর্মকর্তা এখনও নিজ নিজ এলাকায় কর্মরত আছেন। অভিযোগ রয়েছে, ২০২৪ সালের তথাকথিত “ডামি নির্বাচন”-এ এদের অনেকে পক্ষপাতমূলক ভূমিকা রেখেছিলেন।
স্থানীয়দের মতে, নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পুনর্বিন্যাস না করলে আসন্ন নির্বাচন কতটা প্রভাবমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য হবে—সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
তারা মনে করছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উচিত এ বিষয়ে দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়।