শাহ্ ফুজায়েল আহমদ
মফস্বল সম্পাদক
সুনামগঞ্জ- জগন্নাথপুর- ঢাকা আঞ্চলিক মহা সড়কে ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দল সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত আব্দুল কুদ্দুস (৪৫) ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের হায়দরপুর গ্রামের হাজী ইদাজুল্লাহ পুত্র।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে হায়দরপুর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১টি দেশীয় তৈরি পাইপগানসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র।
ছাতক ও জগন্নাথপুর সেনা ক্যাম্প সুত্র জানায়, গত ২৩ জানুয়ারি রাত ১ টায় দিকে সুনামগঞ্জ- জগন্নাথপুর- ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের দারাখাই নামক স্হানে রাস্তায় গাছ পেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ডাকাত দল রাস্তায় গাছ পেলে ঢাকাগামী ২ টি বাস আটকে গাড়িতে থাকা যাত্রীদের মারধরসহ অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ছাতক থানায় মামলা রুজু হয়।
ছাতক ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন সোহেব বিন আহমেদ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ডাকাত আব্দুল কুদ্দুসকে গ্রেফতার করি।গ্রেফতারকৃত ডাকাত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনার সাথে নিজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এমনকি সে নিজে ডাকাতির নেতৃত্ব দেয়। তিনি আরো জানান, ডাকাত ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত সরঞ্জাম রাতে ছাতক থানায় পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন, ডাকাত আব্দুল কুদ্দুসকে থানায় হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জানুয়ারী দিবাগত রাত ১টার দিকে জগন্নাথপুরের সীমান্তবর্তী পাগলা-জগন্নাথপুর- ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কোন্দানালা নামক স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ২০-২৫ জনের একটি ডাকাত দল সড়কে গাছ ফেলে প্রথমে একটি লরি গাড়ির গতিরোধ করে। পরে ওই লরিটি সড়কে মধ্যখানে রেখে সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দুটি যাত্রীবাহী বাস আল-মোবারক ও মামুন পরিবহণসহ প্রায় ২০টি গাড়িতে লুটপাট চালায়। অস্ত্রের মুখে গাড়িতে থাকা টাকা, সোনা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেয়। এসময় হামলায় কয়েকজন যাত্রী রক্তাক্ত হন। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।