মোঃ শাকিল আহামাদ জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী।
রাজশাহীর মোহনপুরে উপজেলায় বোমা বিস্ফোরণ, দোকানপাট ভাংচুর, পোড়ানো ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। মামলার আসামী করা হয়েছে এজাহার নামীয় ৩৬ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ১০০ থেকে ১১০ জন। এ মামলায় ২ জনকে আটক করেছে মোহনপুর থানা পুলিশ। মোঃ নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে মোহনপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আটককৃত আসামিরা হলেন, বাকশিমইল ইউনিয়ন এর বাকশিমইল গ্রামের বাবলু মেকারের ছেলে মোঃ রিপন আলী (৩০)। অপরজন কেশরহাট পৌরসভার নওগাঁ গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে সিদ্দিকুর রহমান বাবু (৫০)। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) আটক আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগষ্ট রবিবার রাত ৮ টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার ১ দফা আন্দোলনকে প্রতিহতের করা উদ্দেশ্যে মোহনপুর উপজেলা গেট সংলগ্ন রাজশাহী- নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে মাসুম আইসিটি সেন্টার দোকানের সামনে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রাজশাহী -৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন (৪৭) ও সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ(৫৫) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সালাম (৬৭), আফজাল হোসেন বকুল (৪৭), উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মোহনপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মফিজ উদ্দিন কবিরাজ (৬০), কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদ (৫২), বাকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান (৫৫), ধুরইল ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৪৫)সহ অন্যান্যরা বিভিন্ন ধরণের ধারালো অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে মহড়া দেয় এবং ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এসময় মাসুম আইসিটি সেন্টারের দরজা ভেঙ্গে ফটোকপি মেশিন, কম্পিউটার, স্ক্যানার, প্রিন্টারসহ যাবতীয় জিনিসপত্র ভাংচুর করে রাস্তায় নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এঘটনায় দোকান মালিক মোঃ মোনায়েম আলী (মাসুম) এর অনুমান দশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়াও দোকানের ড্রয়ারে থাকা নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুরি করিয়া নিয়ে গেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ ও ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপি, জামায়াতের নেতাকর্মীদের প্রায় শতাধিক দোকানপাট ভাংচুর, পোড়ানো ও লুটপাট করা হয়েছে।
এবিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জনাব হরিদাস মন্ডল জানান, বোমা বিস্ফোরণ, ভাংচুর, পোড়ানো ও লুটপাট ঘটনার মামলায় দুইজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। পলাতক আসামীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।