
মনজুরুল ইসলাম | সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
যথাযোগ্য মর্যাদায় সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরিন জাহান। সভাটি সঞ্চালনা করেন বেলকুচি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার ঘোষ।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জহুরুল হক, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হাসান, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আলমগীর হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, বেলকুচি উপজেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ রেজাউল করিম, বেলকুচি উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক মোঃ মুসা হাসেমীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির লক্ষ্য ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়জুড়েই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বিজয়ের প্রাক্কালে এই হত্যাযজ্ঞ ভয়াবহ রূপ নেয়, যেখানে তাদের সহযোগিতা করে রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীর মতো দেশীয় দোসররা।
ডিসেম্বরের মধ্যভাগে যখন বাঙালির বিজয় অনিবার্য হয়ে ওঠে, তখন পাকিস্তানি বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, লেখক, শিল্পীসহ অসংখ্য খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। উদ্দেশ্য ছিল—স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।
বক্তারা আরও বলেন, মিরপুর ও রায়েরবাজার এলাকায় বুদ্ধিজীবীদের ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়, যা পরে বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। অনেক শহীদ বুদ্ধিজীবীর পরিচয় আজও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আত্মত্যাগের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছি। অথচ তাদের হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ বিচার এখনো সম্পন্ন হয়নি।
এ সময় বক্তারা শহীদ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পুনরায় সঠিক তদন্ত করে জড়িত সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।