রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বিচারের দাবিতে মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মোঃ শাকিল আহামাদ রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। (২৬ আগস্ট)সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘নিপীড়কের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ধর্ষকের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘একশন একশন ডাইরেক্ট একশন’, ‘দিয়েছি তো রক্ত আরও দিবো রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘শিক্ষক আর ধর্ষক এক না এক না’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস নো মোর রেপিস্ট’ স্লোগান দেয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, আমরা ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ সরকার সরিয়েছি। কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসর শিক্ষকদের সরাতে পারিনি। আমরা সবাইকে বিচারের আওতায় আনব। ধর্ষকদের আস্তানা হলো জুবেরী ভবন। এই ভবন বন্ধ থাকবে। এই বিশ্ববিদ্যালয় হবে প্রকৃত স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষকদের চেম্বার হলো গবেষণার জায়গা। তবে এখানে শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়। আমরা এটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিব। এছাড়া যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ মেশকাত চৌধুরী বলেন, যেসব শিক্ষক যৌন নিপীড়ন করেছিলেন তাদের মুখোশ উন্মোচন হতে শুরু করেছে। যৌন নিপীড়ন করা শিক্ষকরা রাজনৈতিক ক্ষমতার চর্চা করে। রাজনৈতিক ক্ষমতার আড়ালে শিক্ষকরা এসব কাজ করে থাকে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩ বছরে যেসব অনৈতিক কাজ চলছে এখন আর তা চলবে না। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা গবেষণার কাজে ব্যস্ত থাকবে। তা না করে তারা বিভিন্ন রকম দল গঠন করে। সাদেকুল সাগর লিগ্যাল সেলের দায়িত্বে ছিলেন অথচ তিনি নিজেই একজন ধর্ষক। যারা যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। এমনকি পরবর্তী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটা নিয়ে কাজ করবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মেহেদী সজিবের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।