
বিএমইটি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি বায়রার: দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলন
বিশেষ প্রতিনিধি: মোঃ আসাদুজ্জামান
দাবি পূরণ না হলে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। মানবপাচার প্রতিরোধ ও অভিবাসী আইনের কয়েকটি ধারায় বৈধ অভিবাসন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে দাবি করে বায়রার একটি অংশ ‘শ্রমবাজার রক্ষা আন্দোলন’ নামে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
বায়রা সদস্যদের অভিযোগ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও নতুন নীতিমালার কারণে জনশক্তি রপ্তানি খাত গভীর সংকটে পড়েছে। সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে দক্ষতা সনদ বাধ্যতামূলক করা এবং রিক্রুটিং লাইসেন্সকে শ্রেণিবদ্ধ (এ, বি, সি, ডি) করার প্রক্রিয়া সংকট আরও বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
বায়রার ১০ দফা দাবি:
বাতিল হওয়া ৪৫টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স বিনা শর্তে বহাল করা।
দেশভিত্তিক অতিরিক্ত জামানত ও লাইসেন্স শ্রেণিবিভাগের প্রচেষ্টা বাতিল করা।
মালয়েশিয়াসহ অন্যান্য দেশে বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করা।
সৌদি আরবে একক ভিসায় সত্যায়নবিহীন বহির্গমন ছাড়পত্র চালুর অনুমতি দেওয়া।
এবং অবশিষ্ট ৬ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান।
গত ১০ নভেম্বর (সোমবার) বায়রার সদস্যরা বিএমইটি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন।
আন্দোলনকারী নেতারা ঘোষণা দেন— ১১ নভেম্বরের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ১২ নভেম্বর থেকে বিএমইটি ঘেরাও ও কর্মসূচি পালন করা হবে।
‘শ্রমবাজার রক্ষা আন্দোলনের’ আহ্বায়ক আতিকুর রহমান আতিক গত ৩ নভেম্বর এই কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।
মানববন্ধনের পর বায়রার প্রতিনিধি দল বিএমইটির মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করলেও দাবি আদায়ের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আশ্বাস পাননি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।