
ইমরান হোসেন, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ॥
হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে প্রেসক্লাব সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক ইমদাদুল হোসেন খান–এর ছেলে শাহরিয়ার খান নাফিজের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে ছাত্রশিবির কর্মীরা। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ১নং উত্তর–পূর্ব ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামের পুরাতন পশুহাসপাতালের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় নাফিজ গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে বানিয়াচং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পরপরই সাংবাদিক ইমদাদুল হোসেন খান বানিয়াচং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আহমদ আলীকে প্রধান আসামি করে আরও দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮–১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কিছুদিন আগে হবিগঞ্জ–২ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট জিল্লুর রহমান আযমী দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মেধাবিকাশ উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে প্রবেশ করে নির্বাচন প্রচারণা চালান। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে শাহরিয়ার নাফিজও লাইভে এসে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। এতে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এর ধারাবাহিকতায় গত ৬ ডিসেম্বর পূর্ব আদমখানী খেলারমাঠে তাকে প্রথম দফায় আক্রমণের চেষ্টা চালানো হয়। নাফিজ দৌড়ে এসে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়ে রক্ষা পান।
সোমবার গোসল শেষে বিবির দরগাহ জামে মসজিদের পুকুরঘাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে দ্বিতীয়বারের মতো হামলার শিকার হন নাফিজ। অভিযোগে উল্লেখ করা নামীয় আসামি উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি আহমদ আলী, দত্তপাড়ার ইশতিয়াক হাসান সাইমুম, ইনাতখানীর সাব্বির আহমেদসহ ১০–১২ জন মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে আহত করে। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ হামলার ঘটনায় বানিয়াচংয়ের সাংবাদিক সমাজ, সুশীল সমাজ এবং স্থানীয় বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।