আরিফ হাসান গজনবী
রামপাল প্রতিনিধি
বাগেরহাটের রামপালে মিথ্যা মামলা ও মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলার মল্লিকের বেড় ইউনিয়নের সন্নাসী বাজার মোড়ে দুই সহস্রাধিক এলাকাবাসী এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বড় সন্নাসী বনিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম হাওলাদার, বিএনপি নেতা মোঃ জাহিদুল ইসলাম, হাওলাদার আলমগীর হোসেন, সাজারুল ইসলাম সাজু, শামীম হাসান পলক, শাহ জাহান কুট্টি, আল আমিন শেখ, বেদার হোসেন, হাবিবুর রহমান, এমিলি খানম মিলি, আরাবিয়া খানম চায়না, মোসা: হামিদা বেগম ও তার মেয়ে ফারহানা তাবাচ্ছুম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বড় সন্নাসী এলাকার বাসিন্দা মৃত এ্যাড. আবুল হোসেনের ব্যক্তিগত জীবনে দুই স্ত্রী ছিলেন। প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তানরা খুলনা এবং দ্বিতীয় স্ত্রী মোসা: হামিদা বেগম ও তার মেয়ে ফারহানা তাবাচ্ছুম বড় সন্নাসী এলাকায় থাকতেন। কিন্তু এ্যাড. আবুল হোসেন মারা যাওয়ার পরে, তার বড় স্ত্রী রওশোনারা বেগম ও তার তিন সন্তান ছোট স্ত্রী এবং তার মেয়েকে সম্পত্তির ভাগ থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে। এর অংশ হিসেবে একাধিকবার মারধর করে। এই মারধর ও অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় বড় স্ত্রী ও তার সন্তান ফারজানা তন্নি, রাজিব ইমতিয়াজ পরাগ, ফারহা তামান্না উর্মি, ফারিয়া তাবাচ্ছুম আনি এবং তাদের সহযোগি ইসতিয়াক আহমেদ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এর অংশ হিসেবে ফারজানা তন্নি বাদী হয়ে বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম হাওলাদারকে প্রধান আসামী করে ১২ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যে মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
মৃত এ্যাড. আবুল হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসা: হামিদা বেগম বলেন, আমি আমার স্বামীর বৈধ স্ত্রী। তার সংসারে আমার একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। আমরা কোন অন্যায় চাই না, আমার মেয়ের এবং আমার নায্য অধিকার চাই। কিন্তু বড় স্ত্রীর সন্তানরা আমাকে আমার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায়। স্থানীয়রা আমাদের পক্ষ নেওয়ার জন্যই এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন এই নারী।
মৃত এ্যাড. আবুল হোসেনের মেয়ে ফারহানা তাবাচ্ছুম বলেন, আমার সৎ ভাই আমাদের গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। আমাদের মারধর করে। স্থানীয়রা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে, তাদেরকে ভয়ভীতি দেখায়, হুমকি দেয় ও এলাকাবাসী ও আমাদের জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দেয়। আমরা ন্যায় বিচার চাই।