
বরগুনা জেলা এ বছর ডেঙ্গুর হটস্পট হিসেবে আলোচিত। জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এখন তা উপজেলাগুলোতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬৮ জন। সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ২ হলেও বেসরকারি হিসেবে তা ৯ জন।
রোগীরা অভিযোগ করেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক, নার্স ও ওষুধের সংকট রয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাদের বাধ্য হয়ে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। হাসপাতাল থেকেও প্রয়োজনীয় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না।
চলতি বছর মৃত্যুর হার ও আক্রান্তের সংখ্যার ভিত্তিতে বরগুনা সারাদেশে শীর্ষে রয়েছে। বেসরকারি হিসাবে পহেলা জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গুতে মারা গেছেন অন্তত ৬৩ জন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জানান, আইসিইউর জন্য ভবন প্রস্তুত থাকলেও সরঞ্জাম ও লোকবল না থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, “যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পেলে আইসিইউ চালু করা সম্ভব।”
বরগুনা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, “উপজেলা পর্যায়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ যৌথভাবে কাজ করছে—মশা নিধনে নানা উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।”
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত বরগুনা জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮ হাজার ৭৭৯ জন। তবে বেসরকারি হিসেবে এই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ বলে জানা গেছে।