
মো: শাহীন হাওলাদার, ক্রাইম রিপোর্টার
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফরিদপুর জেলার চারটি আসনে গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি)-এর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে তৎপরতা ও আলোচনার ঝড় বইছে। তৃণমূলের সক্রিয়তা ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অবস্থান — উভয় দিক থেকেই একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে রয়েছেন।
এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-কৃষি সম্পাদক মোঃ তারেক আজিজ।
তিনি ইতোমধ্যে এলাকায় গণসংযোগ, ট্রাক মার্কা প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণ শুরু করেছেন।
তারেক আজিজ বলেন,
“২০১৮ সাল থেকে জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। নির্বাচনে অংশ নিতে পারলে ইনশাআল্লাহ ভালো ফলাফল আনতে পারবো।”
এই আসনে আরও আলোচনায় আছেন জেলা যুব অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন সালথা উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক ও সভাপতি ফারুক ফকির। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় প্রচারণা, শীতবস্ত্র বিতরণসহ সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়।
আরও আলোচনায় আছেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সহ-নিরাপদ সড়ক সম্পাদক মোল্লা মোঃ ফরহাদ মিয়া।
নেতাকর্মীদের মতে, ফরহাদ মিয়া এ আসনে “শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী” হিসেবে বিবেচিত।
এ আসনে এগিয়ে আছেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ মনির চৌধুরী।
তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে তার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে।
একই আসনে আরও মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় আছেন জিয়া শেখ (সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক) ও মোহাম্মাদ আলমগীর শিকদার (সভাপতি, প্রবাসী অধিকার পরিষদ মালদ্বীপ শাখা)।
এই আসনে সক্রিয় রয়েছেন সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা জিওপির সাবেক সহ-অর্থ সম্পাদক শেখ জাহিদ হাসান।
তিনি বলেন,
“নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় মাঠে আছি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে মেনে নেব ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে সাবেক ফরিদপুর-৪ আসন ছিল। আমরা পুরনো আসন ফেরত চাই।”
একই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ হায়দার হোসেন।
ফরিদপুরের চার আসনেই একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী সক্রিয়ভাবে মাঠে কাজ করছেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে কারা শেষ পর্যন্ত দলের প্রতীক নিয়ে ভোটের ময়দানে নামবেন।