মোঃ রাকিবুজ্জামান দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দশমিনায় প্রেমের টানে শ্রীলংকান যুবক দিলশান মাধুরাঙ্গা এখন দশমিনার বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের তরুনী সুবর্না আক্তারের বাড়ীতে ।
গত বৃহস্পতিবার শ্রীলংকান থেকে দিলশান মাধুরাঙ্গা পটুয়াখালী এসে নোটারী পাবলিকে এফেডেবিট করে বিয়ে হয় অতপর তরুনী সুবর্না আক্তারের বাড়ীতে এসে উভয়ের পরিবারের সিদ্ধান্তে স্থানীয়দের নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয় তাদের। এসময় দিলশান ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করেন এবং তার নাম রাখা হয় মোঃ দিলশান ইসলাম।
তরুনী সুবর্না আক্তার দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের মধ্য বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ নিজাম শিকদারের মেয়ে ও যুবক দিলশান মাদুরাঙ্গা শ্রীলঙ্কার কুরুনাগাল জেলার দুমমলচুরিয়া থানার ন্যাবটাকা উডুবাগদা গ্রামের লাকমালের ছেলে।
জানা গেছে, সুবর্না আক্তার গত পাঁচ বছর পূর্বে কাজের সন্ধানে পাড়ি জমান জর্ডানে। সেখানে চাকুরী নেন একটি পোষাক কারখানায়।
একই পোশাক কারখানায় কাজ করতেন দিলশান মাদুরাঙ্গা কাজের সুবাদে পরিচয় হয় দুই জনের।
সেখান থেকেই এই দুই তরুন তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ।
পরে তাদের মধ্যে দীর্ঘ পাঁচ বছর প্রেমের সম্পর্ক চলে।
গত ৪ আগষ্ট বাংলাদেশে ফিরেন সুবর্না আক্তার রীতিমত যোগাযোগ ছিল তাহাদের দু’জনের।
গ্রামে ফিরে সুবর্ণা আক্তার বিষয়টি তার পরিবারকে জানান এবং তার পরিবার রাজি হলে তিনি দিলশান মাদুরাঙ্গাকে বাংলাদেশে আসতে বলেন। গত বৃহস্পতিবার দিলশান মাদুরাঙ্গা পটুয়াখালী পৌঁছান এবং তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার বর্তমান নাম দিলশান ইসলাম ও পটুয়াখালী নোটারী পাবলিকে এফেডেবিট করে বিয়ে হয় এবং সুবর্না আক্তারের বাড়ীতে এসে উভয়ের পরিবারের সিদ্ধান্তে স্থানীয়দের নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয় তাদের।
যুবক দিলশান মাদুরাঙ্গা ওরফে দিলশান ইসলাম বলেন, ‘আমরা দুজন একই পোষাক কারখানায় কাজ করতাম। সেখানে আমাদের পরিচয়ের পর পাঁচ বছরের সম্পর্ক। আমরা দুই ভাই, এক বোন। দুজনের পরিবারের সম্মতিতেই আমরা বিয়ে করেছি।’
সুবর্ণার বাবা নিজাম উদ্দিন সিকদার বলেন, আমার মেয়ের সুখেই আমার সুখ। এখানে আমার কিছুই বলার নাই। তবে দোয়া করি ওরা যাতে ভালো থাকে।