প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে মৃত্যুতে পরিণতি
মোঃ ফারুক সরকার উপজেলা প্রতিনিধি, বগুড়া
বগুড়া-শেরপুর মহাসড়কের পাশে রহস্যজনকভাবে নিহত হয়েছেন গোলাপি বেগম (২৮)। প্রেমের টানে স্বামী ও দুই সন্তানকে ছেড়ে নতুন জীবন শুরু করলেও, শেষমেশ ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় মিলল তার নিথর দেহ।
শুক্রবার সকালে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ফারহানা ফিলিং স্টেশনের সামনে এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়— নিহত গোলাপি বেগম শাজাহানপুর উপজেলার কাফুরা পূর্বপাড়া গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গোলাপির প্রথম স্বামীর ঘরে দুটি সন্তান ছিল। এর মধ্যেই টাউন কলোনীর বিবাহিত যুবক ইমনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে গোলাপি সংসার ছেড়ে ইমনের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। দুই মাস ধরে তারা একই এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকছিলেন।
তবে সম্প্রতি ইমন আবার তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করলে গোলাপি ও ইমনের সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়ে। অভিযোগ রয়েছে, গোলাপিকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতেন ইমন।
গোলাপির চাচা জিয়াউল হক বলেন, “ইমন নিয়মিতই মারধর করতো গোলাপিকে। শেষ পর্যন্ত সে ওর প্রাণটাই কেড়ে নিল।”
হাইওয়ে শেরপুর থানার ওসি রইচ উদ্দিন জানান, “মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি দুর্ঘটনা নাকি হত্যাকাণ্ড— ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।”
মরদেহটি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
