প্রশংসায় ভাসছেন নালিতাবাড়ী থানার ওসি মোঃ সোহেল রানা

মোঃ আবুল হাসেম, উপজেলা প্রতিনিধি

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সোহেল রানা যোগদানের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এলাকাবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এর আগে তিনি জামালপুর জেলার গোয়েন্দা শাখায় দায়িত্ব পালন করলেও, নালিতাবাড়ীতে যোগদানের পর তিনি শত বছরের প্রথা ভেঙে এলাকাবাসীর মন জয় করেছেন।

নালিতাবাড়ীতে তার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

ওসি মোঃ সোহেল রানা নালিতাবাড়ী থানায় যোগদানের পর থেকেই জনগণের সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সাধারণ মানুষ যেন কোনো ভোগান্তি ছাড়া সরাসরি থানায় সেবা নিতে পারেন, সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন তিনি।

তিনি থানায় প্রচলিত "ওসির রুমে ঢোকার জন্য অনুমতি" নিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ঘোষণা দেন, "জনগণের সেবা দিতে কোনো অনুমতির প্রয়োজন নেই, সরাসরি রুমে এসে কথা বলুন।" তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে নালিতাবাড়ীবাসী।

অপরাধ দমনে কার্যকর পদক্ষেপ

মাদকদ্রব্য উদ্ধার, সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি শক্ত হাতে দায়িত্ব পালন করছেন।

• গত ৫ জানুয়ারি, ওসি সোহেল রানা ও তার দল ৬৫০ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৭ লাখ টাকা।

• সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতারে তার উদ্যোগ এলাকাবাসীর মধ্যে নিরাপত্তার অনুভূতি বৃদ্ধি করেছে।

জনগণের কাছে সেবা পৌঁছানো

ওসি মোঃ সোহেল রানা নিয়মিত এলাকাবাসীর সমস্যার কথা শুনে তা সমাধান করছেন। জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য উঠান বৈঠক, মাদকবিরোধী কার্যক্রম এবং টহল পরিচালনা করে তিনি থানার সুনাম বাড়িয়েছেন।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, "জমি সংক্রান্ত সমস্যার জন্য থানায় এসে ওসি সোহেল রানার সেবার মান দেখে আমি অভিভূত। যদি সারা দেশে এভাবে পুলিশ সেবা দিত, তবে জনগণের সঙ্গে পুলিশের কোনো দ্বন্দ্ব থাকত না।"

ওসি সোহেল রানার বক্তব্য

ওসি মোঃ সোহেল রানা বলেন, "আমি গণপ্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী। জনগণকে সেবা দেওয়া আমার দায়িত্ব। থানায় আসা কেউ যেন কষ্ট না পায়, তা নিশ্চিত করাই আমার লক্ষ্য। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করাই আমার প্রধান উদ্দেশ্য।"

ওসি মোঃ সোহেল রানার এমন উদ্যোগ ও কর্মকাণ্ড নালিতাবাড়ী থানাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এলাকাবাসী তার প্রতি কৃতজ্ঞ এবং প্রশংসায় পঞ্চমুখ।