
১. ঘটনার পটভূমি:
১৮ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ঢাকার কিছু উত্তেজিত ব্যক্তি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটায়।
হামলার ঘটনায় ঢাকার রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে।
২. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পদক্ষেপ:
রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান চালানো হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম জানান, এ পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
থানা পুলিশ: ১৩
সিটিসি: ৩
ডিবি: ১
হামলায় অংশগ্রহণকারীদের চিহ্নিত করতে ৩১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে ভিডিও ফুটেজ ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে।
প্রাথমিকভাবে গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
৩. আইনি ব্যবস্থা:
৪টি ধারায় মামলা করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
সন্ত্রাস দমন আইন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন
(বাকি ২টি আইন বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি)
অন্যান্য অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলমান আছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিদের তথ্য (কিছু):
মো. কাশেম ফারুক: বগুড়ার আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসার সাবেক ছাত্র।
মো. সাইদুর রহমান: ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
রাকিব হোসেন: শেরপুর জেলা; প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সক্রিয়।
মো. নাইম: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় গ্রেফতার, ১ লাখ ২৩ হাজার টাকা লুট স্বীকার।
মো. সোহেল রানা ও মো. শফিকুল ইসলাম: আগের বিভিন্ন অপরাধে জড়িত।
৫. উর্ধ্বতন নির্দেশনা:
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন।
তিনি সহিংসতা রোধ এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেন।