পাকুন্দিয়ায় অনিয়ম–দুর্নীতির শীর্ষে বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ: প্যানেল চেয়ারম্যান শাজাহানের ‘রামরাজত্ব’!
ফরহাদ হোসেন রাজ
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ৫নং বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে যেন চলছে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের মহোৎসব। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন প্যানেল চেয়ারম্যান শাহজাহান, যিনি পরিষদের কার্যক্রমে ‘রামরাজত্ব’ কায়েম করেছেন বলে স্থানীয়দের দাবি।
১২ সদস্যের পরিষদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে টিআর, কাবিখা ও ১% অর্থের কোনো হিসাব-নিকাশ দেখাতে ব্যর্থ প্রশাসন। জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু সনদ প্রদানে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করাও এখন নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি পরিষদের তহবিলে মজুত থাকা বড় অঙ্কের ওয়ান পার্সেন্ট খাতের টাকা কোথায় ব্যয় হয়েছে—এ বিষয়ে পরিষদের অধিকাংশ সদস্যই অজ্ঞাত। ২০২৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্যানেল চেয়ারম্যান শাজাহান প্রভাব বিস্তার করে আসছেন বলে অভিযোগ। ৪নং ওয়ার্ড সদস্য আল-আমিন ও সংরক্ষিত সদস্য লিমা খাতুন ছাড়া অন্য কাউকে পরিষদের কার্যক্রমে যুক্ত হতে দেওয়া হচ্ছে না—এমন অভিযোগও উঠে এসেছে সদস্যদের কাছ থেকে।
এর পাশাপাশি সমম্পত্তি আলমদী এলাকায় একটি পুরাতন ভাঙা ব্রিজ সংস্কারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলেন এলাকাবাসী। নিম্নমানের কংক্রিট ও ঢালাই–সামগ্রী ব্যবহার, প্রকৌশলগত ত্রুটি এবং ব্যক্তিগতভাবে কাজটি নেওয়ার কারণ হিসেবে বড় অঙ্কের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। অনেকে মনে করছেন, ওয়ান পার্সেন্ট অর্থের হিসাব ‘জায়েজ’ করতেই তড়িঘড়ি করে এই নিম্নমানের কাজটি করানো হচ্ছে।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্যানেল চেয়ারম্যান শাজাহান জানান, ওয়ান পার্সেন্ট টাকার কাজ হিসেবে স্কুলের গেট নির্মাণ করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্রীজটি সংস্কারে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ রয়েছে।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ—তিনি নিজেকে ‘প্রেসিডেন্ট’ দাবি করে পরিষদে একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রয়োগ করছেন। সাধারণ মানুষ দাবি করেছেন, বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে অব্যাহত অনিয়ম–দুর্নীতি রোধে দ্রুত প্রশাসনিক তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।







