মোঃ মাসুম বিল্লাহ স্টাফ রিপোর্টার।
নেছারাবাদ, পিরোজপুর
৮ জুলাই ২০২৫
নেছারাবাদ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী নৌকার হাট আটঘর কুড়িয়ানায় সরকার নির্ধারিত ৫% খাজনার বদলে দ্বিগুণেরও বেশি খাজনা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বদলি ইজারাদার শহীদ মল্লিক, হুমাউন মোল্লা ও সালাম বেপারীর বিরুদ্ধে। যদিও তাদের দাবি, অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় করা হচ্ছে না।ভুক্তভোগী নৌকা ক্রেতারা অভিযোগ করেন, প্রকাশ্যে খাজনার তালিকা টাঙানোর কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। নৌকা হাটের মূল ইজারাদার আব্দুর রহিম মিয়া জানান, "সরকার নির্ধারিত হার ৫ টাকা হলেও ক্রেতারা ১২ টাকা পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করছেন, যা আমার রশিদে নয়।
শুক্রবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি হার অনুসরণ না করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। টোলঘরে সরকারি টোল তালিকা নেই, ফলে ব্যবসায়ীদেরকে ইজারাদারের মনগড়া খাজনা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এছাড়াও মেইন রোডে হাট বসানোয় তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট।
ব্যবসায়ী শরিফ হোসেন বলেন, “সরকারি হার কী তা জানি না, টোলঘরে কোনো তালিকা নেই। জানতে চাইলে খারাপ ব্যবহার করা হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, “দলীয় প্রভাব খাটিয়ে খাজনা আদায় হয়। সরকারি হার জানতে চাইলে মারধরের ভয় থাকে।এ বিষয়ে বদলি ইজারাদার হুমাউন ও সালাম দাবি করেন, তারা পূর্বের ইজারাদারের হারে খাজনা নিচ্ছেন এবং সরকারি কোনো নির্দেশনা পাননি। তবে মূল ইজারাদার আব্দুর রহিম অভিযোগ করেন, তারা তার ছাপানো রশিদ বাদ দিয়ে নিজেদের রশিদে দ্বিগুণ খাজনা আদায় করছেন এবং চুক্তির টাকা পরিশোধ করতেও গড়িমসি করছেন।এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, “ইজারা নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল, যা সমাধান হয়েছে। তবে সরকার নির্ধারিত হারের বাইরে অর্থ আদায় করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।