মোঃ শাকিল আহামাদ
জেলা প্রতিনিধি, রাজশাহী
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মেহেদী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক নার্স ‘ডাক্তার’ পরিচয়ে সিজারিয়ান অপারেশন করেছেন—এমন অভিযোগ তুলেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার। অভিযুক্ত নার্সের নাম মেহেনাজ।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজশাহী নগরীর এক হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী বিথি আক্তারের পরিবার এ অভিযোগ তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিথির স্বামী হাবিবুর রহমান, পিতা শাহাজাহান এবং এক আত্মীয় রুমি।
লিখিত বক্তব্যে হাবিবুর রহমান জানান, “আমার স্ত্রী গর্ভকালীন জটিলতায় মেহেদী ক্লিনিকে ভর্তি হন। সেখানে কর্মরত মেহেনাজ নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে বলেন অপারেশন করতেই হবে এবং তিনিই অপারেশন করেন। চার ঘণ্টা পর দেখা যায় ছয়টি সেলাই কেটে গেছে। পরে আবার তিনি নিজেই সেলাই করেন।”
তিনি আরও বলেন, “অপারেশনের পর আমার স্ত্রীর রক্তপাত বন্ধ হচ্ছিল না। তখন মেহেনাজ বলেন, এখানে আর কিছু করার নেই, তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে হবে। পরে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ মাইক্রোবাসে করে পাঠায় এবং মেহেনাজের স্বামী ভর্তি করিয়ে দেন। এখন আমার স্ত্রী রাজশাহী মেডিকেলে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন।”
হাবিবুর রহমান অভিযুক্ত মেহেনাজের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। পাশাপাশি মেহেদী ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করার দাবি জানান। তিনি বলেন, “চিকিৎসা শেষে আমি মামলা করব।”
অভিযোগের বিষয়ে মেহেনাজকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কোনো অপারেশন করিনি।”
এ বিষয়ে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. ফারুক জানান, “এখনো লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নার্স কখনোই অপারেশন করতে পারেন না।”
ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।