নিউজ ডেস্ক: মোঃ সিয়াম হোসেন (প্রীতম), কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে গ্রাম্য বিচার বসিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদল নেতা বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে গত ১৬ অক্টোবর। তবে মঙ্গলবার রাতে ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেলে বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপালনগর গ্রামের এক যুবদল নেতা ও প্রবাসীর স্ত্রীর মধ্যে পরকীয়ার অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় গ্রামে সালিশ ডাকা হলে ইউপি সদস্য বজলুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। অভিযোগ রয়েছে, সালিশের সময় ওই নারীকে অপমানজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি ওই নারীকে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করছে এবং কান্না সত্ত্বেও তাকে থামানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি।
ভুক্তভোগীর পরিবারের দাবি,
“পরকীয়ার মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে পরিকল্পিতভাবে অপমান করা হয়েছে। বিচার নয়, বরং প্রতিহিংসা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।”
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ও যুবদল নেতা বজলুর রহমান বলেন,
“গ্রামের মানুষের অনুরোধে আমি বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছি। কোনো নির্যাতন করা হয়নি।”
তবে ভিডিও ফুটেজে তার উপস্থিতি ও তর্ক-বিতর্ক চলাকালীন তার ভূমিকা স্পষ্ট দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ জানায়, “ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”