ন”ব”জা”ত”ক এ”সি”তে ঘুমাতে পারে, তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। এসির ঠান্ডা বাতাস শিশুর ত্বক শুষ্ক করে ফেলতে পারে, শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে, এমনকি ঠান্ডা লাগার ঝুঁকিও বাড়াতে পারে।
সম্ভাব্য ঝুঁকি:
শুষ্ক ত্বক ও শ্বাসযন্ত্র: এসি বাতাস শুষ্ক হতে পারে, যা নবজাতকের নাজুক ত্বক ও শ্বাসযন্ত্রের জন্য বিরক্তিকর হতে পারে। এর ফলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, সর্দি-কাশি এবং ত্বকের শুষ্কতা দেখা দিতে পারে।
ঠান্ডা লাগা: নবজাতকের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা এখনও পুরোপুরি বিকশিত হয়নি, তাই তারা দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে। এসির ঠান্ডা বাতাস তাদের ঠান্ডা লাগার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
কানের সংক্রমণ: এসির ঠান্ডা বাতাস শিশুদের ইউস্টেশিয়ান টিউবগুলিকে (কানের মাঝের কানের সাথে মধ্যকর্ণকে সংযোগকারী নলী) বন্ধ করে দিতে পারে, যা কানের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ: ঘরের তাপমাত্রা 24°C (75°F) এর কাছাকাছি রাখুন।
আর্দ্রতা বজায় রাখুন: একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করে ঘরের আর্দ্রতা 50% এর উপরে রাখুন।
সরাসরি বাতাস প্রবাহ এড়িয়ে চলুন: এসির ভেন্ট থেকে সরাসরি বাতাস নবজাতকের উপর লাগতে দেবেন না।
পোশাক: নবজাতককে হালকা, স্তরে স্তরে পোশাক পরান যাতে তাদের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
ত্বকের যত্ন: নবজাতকের ত্বক নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার দিয়ে ময়েশ্চারাইজ করুন।
শিশু পর্যবেক্ষণ: নবজাতকের শ্বাস-প্রশ্বাস, ত্বকের অবস্থা এবং আচরণে নজর রাখুন। ঠান্ডা লাগা, শ্বাসকষ্ট, বা অস্বাভাবিক আচরণের লক্ষণ দেখা দিলে শিশুকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।