সাইফুল ইসলাম, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি :
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ৯তম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে নওগাঁয় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার বিকেলে নওগাঁ পিটিআই গেটের সমানে প্রধান সড়কে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের নেতা আহসান আলী’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন চকআতিথা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, সমন্বয়ক মাসুদ রানা, আব্দুল হাই আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল হাকিম ও মেজবাউল হক প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সুশিক্ষিত জাতি গঠনে প্রাথমিক শিক্ষা ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। প্রাথমিকের শিক্ষকরা শিক্ষার সূতিকাগার হিসেবে কাজ করেন। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষকদের ভূমিকা সব থেকে বেশি। তারপরও দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতায় পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, উচ্চ মাধ্যমিক যোগ্যতাধারী ডিপ্লোমাধারী নার্স, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের ১০ম গ্রেডে বেতন দেওয়া হচ্ছে। সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক নিয়োগ শর্তাবলীতে স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতাধারীদের শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেডে বেতন দেওয়া হচ্ছে। এরপরও স্নাতক বা সমমানের যোগ্যতা সম্পন্নধারী সহকারি শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি, সিলেকশন গ্রেড, টাইমস্কেল বিভিন্ন জটিলতায় বন্ধ রাখা হয়েছে। অপরদিকে ৮ম শ্রেণি পাশের একজন গাড়িচালক বেতন পায় ১২তম গ্রেডে। এ থেকে বোঝা যায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কতটা অবহেলিত। শিক্ষকদের মাসে দুইশত টাকা মাত্র টিফিন ভাতা প্রদান করা হয়। যা লজ্জাজনক। হিসাব করলে দিনে মাত্র ৬.৬৬ টাকা টিফিন ভাতা পড়ে । এই ৬.৬৬ টাকা (টিফিন ভাতা) দিয়ে বাজারে এককাপ চা পানও সম্ভব নয়। এ সময় বক্তারা আরো বলেন, শিক্ষার ভিত্তি মজবুত করতে হলে অবশ্যই প্রাথমিক শিক্ষকদের সঠিক মর্যাদা দিতে হবে। এ জন্য অনতিবিলম্বে তাদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করা দরকার। এ যৌক্তিক দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীতে আরো বৃহত্তম কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা। মানববন্ধন শেষে শিক্ষকরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয় ।