সাজেদুল ইসলাম রাসেল, বিশেষ প্রতিনিধি, বগুড়া:
বগুড়ার ধুনুট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ী সরকারপাড়া গ্রামে মানসিক রোগী এক কলেজ ছাত্রকে (আরিফুল ইসলাম) মারধর, শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা এবং পরবর্তীতে পুলিশের মাধ্যমে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেল হাজতে প্রেরনের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনা ঘটে গত ২১ আগস্ট ২০২৫ ইং (৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ), বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে। অভিযোগ অনুযায়ী, কয়েকজন স্থানীয় দাঙ্গাবাজ মোঃআব্দুল কুদ্দুস, রফিকুল ইসলাম, আসিফ, মুরাদ, ফারজানা, রুহুল আমিন ও হাসি খাতুন মিলে আরিফুলকে ইসলামকে গলায় দড়ি লাগিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা করে, লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পেটায় এবং পরে ইলেকট্রিক খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখে। পরে তারা ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
বাদীপক্ষ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিদের পক্ষে মোছাঃহাসি খাতুন (৪৫)স্বামী মোঃজহুরুল ইসলাম, বাদী হয়ে বলেন যে তার মেয়ে মোছাঃজেরিন আকতার (লোবা) কে আরিফুল ইসলাম ধর্ষণ চেষ্টা করেছে মর্মে পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আরিফুলকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় ফাঁসানো হয়। ধুনুট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ১০ ধারায় মামলা (জি.আর ১৫৫/২০২৫) রুজু হয়।
বর্তমানে ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলাম বগুড়া জেলা কারাগারে বন্দী। পরিবার দাবি করেছে, তিনি মানসিক রোগী হওয়ায় সত্বেও তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে এবং ন্যায্য বিচারের দাবি জানিয়েছে।উক্ত ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে এবং এলাকাবাসী এর সুস্থ বিচার দাবি করছে।