
ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে রোগী দেখার ফজিলত
বিশেষ প্রতিনিধি: মোঃ আসাদুজ্জামান
ইসলামে অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাওয়া শুধু সৌজন্যতা নয়; এটি একটি মহান ইবাদত, যার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি, ফেরেশতাদের দোয়া এবং অগণিত সওয়াব অর্জন করা যায়। কুরআন-হাদিসে রোগী দেখার (ইয়াদুল-মারীয) বিশেষ মর্যাদা ও উপকারিতা উল্লেখ রয়েছে।
ফেরেশতাদের দোয়া:
হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি পূর্ণ অজু করে কোনো অসুস্থকে দেখতে যায়, তার জন্য সত্তর হাজার ফেরেশতা দোয়া করে।
জান্নাতের পথ সহজ হয়:
রোগী দেখতে যাওয়া জাহান্নাম থেকে দূরে থাকা এবং জান্নাতের নিকটবর্তী হওয়ার একটি কারণ।
গুনাহ মাফ ও মর্যাদা বৃদ্ধি:
এটি এমন একটি আমল, যার মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং গুনাহসমূহ মাফ করেন।
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন:
অসুস্থ মানুষকে কাছে নেওয়া, তার পাশে দাঁড়ানো ও তার দুঃখ-কষ্টে সঙ্গ দেওয়া আল্লাহর বিশেষ সন্তুষ্টির আমল।
অজু ও পরিচ্ছন্নতা:
পবিত্রতা সহকারে রোগী দেখতে যাওয়া উত্তম; এতে সওয়াবও বৃদ্ধি পায়।
স্বল্প সময় থাকা:
রোগীর কষ্ট বাড়ে এমনভাবে দীর্ঘক্ষণ না থেকে সংক্ষিপ্তভাবে দেখা উত্তম। তবে রোগীর আরামের জন্য প্রয়োজন হলে কিছুটা বেশি সময় থাকা যায়।
সান্ত্বনা প্রদান:
রোগীকে সাহস দেওয়া, মনোবল বাড়ানো এবং ভালো হয়ে যাওয়ার আশা জাগানো সুন্নত।
দোয়া করা:
“আস'আলুল্লাহাল আজীম…” দোয়াটি রোগীর জন্য করা উত্তম।
চিকিৎসকের পরামর্শ মানা:
রোগীর চিকিৎসার বিষয়গুলো সম্মান করা ও তার প্রয়োজনীয়তা পূরণে সহযোগিতা করা উত্তম আমল।
উপহার দেওয়া:
সামর্থ্য থাকলে রোগীর জন্য ফলমূল বা প্রয়োজনীয় কিছু নিয়ে যাওয়া সুন্নত ও পুণ্যময় কাজ।
মানসিক সমর্থন:
রোগীর পাশে বসে তার কথা শোনা, কষ্ট ভাগ করে নেওয়া ও তাকে মানসিকভাবে শক্ত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ আদব।